পটুয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বাড়ছে। আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে সোমবার সকালে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আনারস প্রতীকের প্রার্থী খলিলুর রহমান মোহনের বিরুদ্ধে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী হাফিজুর রহমান। তবে অভিযোগের বিষয়ে বানোয়াট বলে অস্বীকার করেছেন খলিলুর রহমান মোহন।

স্বতন্ত্র প্রার্থী হাফিজুর রহমান লিখিত অভিযোগে বলেন, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান ও আনারস প্রতীকের প্রার্থী খলিলুর রহমানের (মোহন) উপস্থিত নির্দেশে তার সন্ত্রাসী লোকজন আমাকে বিভিন্ন সময়ে হুমকি দিয়ে বলেছেন, নির্বাচনের মাঠ না ছাড়লে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে এবং আমার নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করা হবে। এমতাবস্থায় আমার জীবন হুমকির মুখে। এছাড়া গত ৬ সেপ্টেম্বর বাউফল পৌরসভায় এক নির্বাচনী সভায় আনারস মার্কার প্রার্থী নিজে আমাকে এলাকা ছাড়ার হুমকি দেন এবং নির্বাচনের পর আমি কীভাবে এলাকায় থাকি দেখে নেওয়ার হুমকি প্রদান করেন। যার ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষিত রয়েছে। এমতাবস্থায় আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আনারস প্রতীকের প্রার্থী খলিলুর রহমান মোহন বলেন, যত পারে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেবে তাতে কোনো সমস্যা নাই। এগুলো বানোয়াট।

এ ব্যাপারে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, আগামী ১৭ অক্টোবর পটুয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ৩টি সংরক্ষিত মহিলা আসনে ৭ জন এবং ৮টি সাধারণ আসনে ২৩ জনসহ মোট ৩৩ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। এ জেলার ৮টি উপজেলা, ৫টি পৌরসভা ও ৭৭টি ইউনিয়নে ১০৮৩ জন ভোটার রয়েছেন।

মাহমুদ হাসান রায়হান/এমএএস