৪ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি
চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সাংবাদিকের প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন
নারায়ণগঞ্জে চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা। মঙ্গলবার (২ মার্চ) দুপরে চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আয়োজিত প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি খন্দকার শাহ আলমের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের(ক্র্যাব) সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আরিফ উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিকদের এই প্রতিবাদে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান খান একাত্মতা প্রকাশ করেন।
বিজ্ঞাপন
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, শুধুমাত্র গণমাধ্যমের কণ্ঠ রোধ করতেই প্রবীণ সাংবাদিক হাবিবুর রহমান বাদল, রাজু আহমেদ, মাহামুদ হাসান কচি ও সিফাত আল রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। একই ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলাও করা হয়েছিল। প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে এসব মামলায় আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। শুধুমাত্র সত্য তুলে ধরার কারণে হয়রানি করতেই এই ৪ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর ভাই আলী রেজা রিপন। আমরা চাই এসব মামলা প্রত্যাহার করা হোক।
ক্রাবের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আরিফ বলেন, যাদের বিরুদ্ধে এই মামলাগুলো করা হয়েছে তাদের একজন এই জেলার সর্বজন শ্রদ্ধেয় প্রবীণ সাংবাদিক নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক ইত্তেফাকের স্টাফ রিপোর্টার হাবিবুর রহমান বাদল। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাজু আহম্মেদ, নারায়ণগঞ্জ সিটি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সিফাত আল রহমান লিংকন ও নারায়ণগঞ্জ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান কচির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এই গণমাধ্যমকর্মীরা নিজ নিজ কর্ম দিয়ে প্রতিষ্ঠিত। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার নেপথ্য কারণ হতে পারে অন্য গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি একটি মেসেজ। সেটি হলো সত্য লেখা যাবে না। শুধু নারায়ণগঞ্জই নয়, পুরো দেশেই এই অবস্থা বিরাজ করছে। আমরা চাই এই আইন বাতিল হোক কিংবা সংশোধন করা হোক।
বিজ্ঞাপন
প্রতিবাদ সভায় সভাপতির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি খন্দকার শাহ আলম বলেন, গণমাধ্যম রাষ্ট্রের একটি স্তম্ভ। এই স্তম্ভকে দুর্বল করলে রাষ্ট্রই দুর্বল হবে সেটা সবার আগে অনুধাবন করতে হবে।
তিনি বলেন, সবার আগে গণমাধ্যমের প্রকৃত ও পেশাদার সাংবাদিকদের ঐক্য চাই, তিনি যে নীতি বা দলের অনুসারীই হোন না কেন। তা না হলে অনৈক্যের বেড়াজালে এমন দমন নিপীড়ন চলবেই।
প্রতিবাদ সভায় কালের কণ্ঠ ও নিউজ টোয়েন্টিফোরের জেলা প্রতিনিধি দিলিপ কুমার মন্ডল, মানবজমিনের স্টাফ রিপোর্টার বিল্লাল হোসেন রবিন, বাংলাদেশ প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি রোমান চৌধুরী সুমনসহ জেলার বন্দর, সোনারগাঁ, রুপগঞ্জ, আড়াইহাজার, সিদ্ধিরগঞ্জ, ফতুল্লা প্রেস ক্লাব ও সিটি প্রেস ক্লাব নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
রাজু আহমেদ/আরএআর