রংপুরে গৃহ ও ভূমিহীন ৬ হাজার পরিবারের পুনর্বাসন প্রয়োজন
রংপুর মহানগরসহ জেলার ৬ হাজার পরিবারের পুনর্বাসন করতে জেলা প্রশাসন গুরুত্বারোপ করছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন ভূমিহীন ও গৃহহীন সংগঠন। অবিলম্বে সরকার প্রধানের ঘোষিত প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে স্বনামে বেনামে বিত্তবানদের বন্দোবস্ত দেওয়া অকৃষি খাসজমির বরাদ্দ বাতিল করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটির নেতারা। একই সঙ্গে গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের পুনর্বাসন না করা পর্যন্ত উচ্ছেদ বন্ধের আহ্বান তাদের।
রোববার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে রংপুর নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মলন থেকে অকৃষি খাসজমির বরাদ্দ বাতিল করে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পুনর্বাসনের দাবিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমানো, প্রত্যেক নিম্নআয়ের দরিদ্র পরিবারকে রেশনিংয়ের আওতায় এনে আর্মি ও পুলিশের রেটে রেশন দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ভূমিহীন ও গৃহহীন সংগঠন।
বিজ্ঞাপন
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাসদ (মার্কসবাদী) রংপুর জেলার সদস্য সচিব আহসানুল আরেফিন তিতু।
বক্তব্য রাখেন ভূমিহীন আন্দোলনের প্রধান সংগঠক ও বাসদ (মার্কসবাদী) রংপুর জেলার আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন বাবলু, ভূমিহীন ও গৃহহীন সংগঠনের নেতা বাবু মিয়া, ছায়া বেগম, মেরিনা খাতুন, হাবলু মিয়া, রোকেয়া খাতুন, আম্বিয়া বেগম, রমজান আলী, রুপানা বেগম, গুড়িয়া, হাসিনা বেগম প্রমুখ।
বিজ্ঞাপন
সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ার হোসেন বাবলু বলেন, ভূমিহীন ও গৃহহীন সংগঠন সরকারি খাস জমিতে গৃহহীনদের পুনর্বাসনের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। চলমান আন্দোলনের এক পর্যায়ে ১৯৯৫-২০০০ সালের দিকে তৎকালীন জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল রংপুর শহর এলাকায় সেই রকম খাস জমি নেই। যেগুলো আছে, সেখানে ভূমিহীনদের পুনর্বাসন করা করা সম্ভব নয়। পরবর্তীতে আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজখবর নিয়ে এবং কাগজপত্র ঘাটাঘাটি করে তালুক ধর্মদাস মৌজা ও খলিশাকুড়ি মৌজাসহ কয়েকটি এলাকায় খাস জমি চিহ্নিত করে সেখানে ভূমিহীনদের পুনর্বাসনের জন্য স্মারকলিপি দিয়েছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব ) এ.কে আজাদ জমির শ্রেণি পরিবর্তন জটিলতার অযুহাত দেখিয়ে পুনর্বাসনের জন্য কোনো জমি বন্দোবস্ত দেয়নি।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের ক্ষমতাসীন দল ওই সময়ও দেশ পরিচালনার দায়িত্বে ছিল। ২০-২২ বছর পরও আমরা সেই একই অজুহাত শুনে আসছি। আজ পর্যন্ত জমির শ্রেণি পরিবর্তন হয়নি এবং ভূমিহীনদের জন্য আশ্রয়ন প্রকল্পের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমরা জেনেছি, খলিশাকুড়ি মৌজার খাস জমিতে অন্য কিছু করার পরিকল্পনা চলছে। কিন্তু ভূমিহীনদের এখানে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা হচ্ছে না।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমএএস