সাবেক এমপির স্ত্রী হত্যার সুষ্ঠু তদন্তে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি
সেলিমা খান মজলিশ
সাভারের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) প্রয়াত সামসুদ্দোহা খান মজলিশের স্ত্রী মোসা. সেলিমা খান মজলিশ হত্যাকাণ্ডের ১১ বছরেও হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। এতে হতাশ হয়ে হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচারের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি দিয়েছেন নিহতের দুই মেয়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১১ সালের ১৪ জুন সাভারের দক্ষিপাড়ার বাসায় নৃশংসভাবে সেলিমা খান মজলিশকে জবাই করার পরও পেটে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় মামলা করা হলেও মামলার নথি চাপা রয়েছে বছরের পর বছর।
বিজ্ঞাপন
নিহত সেলিমা খান মজলিশের প্রবাসফেরত দুই মেয়ে পারভীন খান মজলিশ ও ইলোরা খান মজলিশ গত ১০ অক্টোবর এ হত্যার তদন্ত দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে লিখিত আবেদন করেন। এর পর মামলার তদন্তভার ন্যস্ত হয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ওপর। এর আগে গত ১১ বছর ফলাফলহীন তদন্ত করেছে পুলিশ ও অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তারা ১১ বছরেও এক হত্যাকাণ্ডের কোনো ধরনের ক্লু খুঁজে বের করতে পারেনি।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা যায়, সেলিমা খান মজলিশকে গলায় ছুরিকাঘাত করা হয়। তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় বাসার ভেতরে পড়ে ছিলেন। এ সময় গৃহকর্মী সরলাম স্বামী সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তবে তিনি কি কারণে উপস্থিত ছিলেন এমন প্রশ্নের উত্তর না মিললেও নিহতের স্বজনদের বেশ কয়েকজনকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এ ব্যাপারে নিহতের মেয়ে ইলোরা খান মজলিশ বলেন, মামলা দায়েরের ১১ বছর অতিবাহিত হলেও এর কোনো অগ্রগতি আমরা দেখতে পাইনি। এতদিনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কিছুই শনাক্ত করতে পারেনি। আমরা হতাশ হয়েছি, আর হতাশ হয়েই প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি দিয়েছি। আমরা চাই হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি, রক্তমাখা গ্লাসের ফরেনসিক পরীক্ষা, ঘটনাস্থলে উপস্থিত ব্যক্তিদের ফিঙ্গার প্রিন্ট পরীক্ষা করা হোক। এছাড়া আশপাশের মানুষের জবানবন্দি গ্রহণসহ বিভিন্নভাবে যাচাই-বাছাই করে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন হোক।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা জেলা পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক (এসআই) সালেহ ইমরান বলেন, মামলার তদন্ত এখনো চলমান রয়েছে। তদন্তের প্রয়োজনে নতুন করে অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা করা হচ্ছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম-পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সেলিমা খান মজলিশ হত্যাকাণ্ডের পর তার ছোট ভাই মো. শাফিউর রহমান খান শাফি বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় মামলা করেন।
মাহিদুল মাহিদ/আরএআর