শিশু শংকুর জন্য বঙ্গবন্ধুও কেঁদেছিলেন
প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন বাংলাদেশ বেতার রংপুর কেন্দ্রের পরিচালক ড. হারুন-অর-রশিদ
স্বাধীনতার গণআন্দোলনে রংপুরের প্রথম শহীদ শিশু শংকু সমজদারের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৩ মার্চ) দুপুরে নগরীর আশরতপুর চকবাজারে শহীদ শংকু সমজদার বিদ্যানিকেতন প্রাঙ্গণে এই স্মরণসভা হয়। স্মরণসভা থেকে শংকু সমজদারের স্মৃতি রক্ষার্থে সরকারি উদ্যোগের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশ বেতারের রংপুর কেন্দ্রের আঞ্চলিক পরিচালক ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের আন্দোলনের ইতিহাসের সাথে শংকু নামটি সব সময় উচ্চারিত হবে। তার সাহস আর আত্মত্যাগ ভুলে যাওয়ার মতো নয়। যুদ্ধ শুরুর আগেই শিশু শংকু সমজদারের রক্তে রক্তাক্ত হয়েছিল রংপুরের পিচঢালা পথ। শংকুর অকাল মৃত্যুতে শুধু রংপুরের মানুষ নয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও কেঁদেছিলেন। ৭ই মার্চের ভাষণে শংকুকে ঘিরে বঙ্গবন্ধু রংপুরের কথা বলেছিলেন।’
বিজ্ঞাপন
প্রধান আলোচক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু বলেন, ‘নতুন প্রজন্মকে শহীদ শংকু সমজদারের আত্মত্যাগ সম্পর্কে জানাতে হবে। মুক্তিযুদ্ধে রংপুরবাসীর অংশগ্রহণের গৌরবান্বিত ইতিহাস রয়েছে। সেই ইতিহাসের সাথে এই প্রজন্মকে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে।’
প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ তানিয়া সুলতানা সুমির সভাপতিত্বে স্মরণসভায় আরও বক্তব্য রাখেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ডা. মফিজুল ইসলাম মান্টু, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক উমর ফারুক, শহীদ শংকু সমজদার বিদ্যানিকেতনের উপাধ্যক্ষ আফিফা ইশরত চেতনা, অধ্যাপক মোহাম্মদ শাহ্ আলম প্রমুখ।
বিজ্ঞাপন
স্মরণসভা শেষে শহীদ শংকু সমজদার বিদ্যানিকেতন ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠন ‘গুণগুণ’র শিল্পীরা সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেন। এতে কবিতা আবৃত্তি, দেশাত্ববোধক গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন তারা। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন বিদ্যানিকেতনের শিক্ষক শারমিন আক্তার ও রওজাতুন নাহার প্রেমা।
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ কারফিউ ভেঙে রংপুরেও হরতাল পালিত হয়। সেই আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিলে আলমনগর এলাকায় অবাঙালির গুলিতে শহীদ হন স্কুলপড়ুয়া ১২ বছরের শিশু শংকু সমজদার।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমএসআর