খুলনায় বাস চলাচল বন্ধ, যশোর থেকে স্বাভাবিক থাকবে যানচলাচল
খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ সামনে রেখে খুলনা বাস মালিক শ্রমিক সংগঠের ২১ ও ২২ অক্টোবর দুই দিন বাস চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেনি যশোর বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক সংগঠন। প্রতিদিনের ন্যায় যশোর থেকে আন্তঃজেলাসহ দূরপাল্লার সব ধরনের যানবহন চলাচল করবে।
বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন যশোর ইন্টার ডিস্ট্রিক্ট বাস সিন্ডিকেটের সভাপতি এবং ইগল পরিবহনের সত্ত্বাধিকারী পবিত্র কাপুড়িয়া।
বিজ্ঞাপন
পবিত্র কাপুড়িয়া জানান, অবৈধ নছিমন-করিমন মাহেন্দ্র ইজিবাইক ও বিটিআরসির যত্রতত্র কাউন্টার বন্ধ করার দাবিতে খুলনা বাস মালিক শ্রমিক সংগঠন আগামী ২১-২২ অক্টোবর দুই দিন খুলনা থেকে ১৮টি রুটে বাস চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে যশোর বাস মালিক শ্রমিক সংগঠনের কোনো একাত্মতা নেই।
তিনি আরও জানান, প্রতিদিনের মতো যশোর থেকে আন্তঃজেলা বাস চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। চলবে ঢাকাসহ দূরপাল্লার যানবাহনও। যেহেতু খুলনা মালিক শ্রমিক বাস চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেক্ষেত্রে তারা যদি খুলনা জেলায় প্রবেশ করতে না দেয় তাহলে যশোর-খুলনা রুটে অভয়নগর এবং যশোরের শেষ সীমানা পর্যন্ত যাত্রী পরিবহন চলাচল করবে।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ পরিবহন সংস্থা শ্রমিক ইউনিয়ন-২২৭ যশোরের সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা মিঠু বলেন, খুলনা বাস মালিক শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে বাস বন্ধ রাখার ব্যাপারে যশোরের পরিবহন সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা একাত্মতা প্রকাশ করবে না। পরিবহন বন্ধ থাকলে মালিক শ্রমিক উভয়ের ক্ষতি। তাছাড়া খুলনার সংগঠন এবং যশোরের সংগঠন আলাদা। যশোর থেকে খুলনা রুটে অভয়নগর পর্যন্ত এবং দূরপাল্লার সবরুটে যাত্রী পরিবহন প্রতিদিনের মতো স্বাভাবিক থাকবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ অক্টোবর খুলনা জেলা বাস মিনিবাস ও মাইক্রোবাস মালিক সমিতির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত অমান্য করে সড়ক-মহাসড়কে নসিমন-করিমন, মহেন্দ্র, ইজিবাইক ও বিটিআরসির গাড়িগুলো চলাচল করছে। ২০ অক্টোবরের মধ্যে প্রশাসন কর্তৃক অবৈধ নছিমন-করিমন মাহেন্দ্র ইজিবাইক ও বিটিআরসির যত্রতত্র কাউন্টার বন্ধ না করলে ২১ থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত দুই দিন মালিক সমিতির সকল গাড়ি বন্ধ থাকবে। এদিকে আগামী ২২ অক্টোবর খুলনা বিভাগের ১০ জেলার বিএনপির নেতাকর্মীদের একত্রিত করে বিভাগীয় গণসমাবেশ করবে বিএনপি। এ সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এ্যান্টনি দাস অপু/এমএএস