নীলফামারীর জলঢাকায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার ১৩ বছর পর প্রধান আসামি মাহমুদার রহমানকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে নীলফামারী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মনছুর আলী এ রায় দেন। 

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মাহমুদার রহমান জলঢাকা উপজেলার দুন্দিবাড়ি পশ্চিমপাড়া এলাকার আফান উদ্দিনের ছেলে। তিনি পলাতক রয়েছেন। 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর বাড়িতে একা পেয়ে ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করেন মাহমুদার রহমান। ধর্ষণের ঘটনা জানাজানির ভয়ে তাকে হত্যা করে ঘটনা অন্য দিকে প্রভাবিত করা উদ্দেশ্যে উড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঘরের তীরের সঙ্গে ঝুলিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বাড়িতে এসে তাকে দেখতে পেল জোরে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যান মাহমুদার। পরে ঘরে গিয়ে মেয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মাহমুদারের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হারেজ মর্তুজা বাবুল বলেন, দীর্ঘ ১৩ বছর পর চাঞ্চল্যকর এই মামলার রায় হয়েছে। বিজ্ঞ আদালতের রায়ে পরিবার ও আমরা খুশি। আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে রায় কার্যকরের দাবি জানাই। 

এদিকে বিজ্ঞ আদালতের রায়ে খুশি ভুক্তভোগীর পরিবার। তবে মেয়ের বিচারের দাবিতে লড়াই করা বাবা  বিচার দেখে যেতে পারেননি। আদালতে সাক্ষ্যপ্রমাণ গ্রহণের কিছু দিন পরেই মারা যান তিনি। 

ভুক্তভোগী ওই স্কুলছাত্রীর ভাই বলেন, বাবা মারা যাওয়ার আগেও বলেছিল যেন বোনের বিচার না পাওয়া পর্যন্ত লড়াই করি। আজ মন কিছুটা শান্ত। এখন রায় কার্যকরের অপেক্ষা।

শরিফুল ইসলাম/আরএআর