বাগেরহাটে ফাঁকা বাসাবাড়ি টার্গেট করে চুরি করতো একটি সক্রিয় চোরাই চক্র। শহরের ফাঁকা বাসাবাড়িতে প্রবেশ করে সুনিপুণ ভাবে হ্যাজবোল্ট কেটে তালা খুলে ঘরে প্রবেশ করতো চক্রটি। মাত্র দশ মিনিটের মধ্যে তল্লাশি চালিয়ে ঘরে থাকা স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা নিয়ে যেত তারা। এমন একাধিক ঘটনার সঙ্গে জড়িত নারীসহ ৩ জনকে আটক করেছে বাগেরহাট মডেল থানার পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর ভোর রাতে খুলনা মহানগরের হরিণটানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরির কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, মাস্টার চাবি, মোবাইল ফোন, ব্যাগ ও পোশাক জব্দ করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, বেশ কিছু দিন ধরে বাগেরহাট শহরের বিভিন্ন এলাকায় মাক্স পড়ে এই চক্রের নারী সদস্যরা চুরি করে আসছিল। চোর চক্রকে ধরতে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পুলিশ অভিযান শুরু করে। সিসি ক্যামেরায় দেখা যায়, এক যুবক মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছে, আর দুই তরুণী মাক্স পড়ে কৌশলে বাসার তালা খুলে রুমে ঢুকে স্বর্ণালঙ্কারসহ মূল্যবান মালামাল লুটে নিয়ে বের হয়ে যায়। আর এতে সময় লাগে মাত্র ১০ থেকে ১৫ মিনিট। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করা হয়।
 
আটকরা হলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার ৩নং ওয়ার্ডের মৃত সলেমান মিয়ার ছেলে সোহেল রানা (৩৩), তার স্ত্রী কাজল আক্তার হীরা (২৪) ও একই এলাকার মৃত আলতাফ সরদারের রবিউল ইসলাম ওরফে রাঙ্গা (১৯)। আটকদের নামে বাগেরহাট মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। 
 
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মাহমুদুল হাসান বলেন, বেশ কিছু দিন ধরে বাগেরহাট সদর এলাকায় মুখে মাক্স পরে এই চক্রের নারী সদস্যরা বসতবাড়িতে চুরি করে আসছিল। এদের কাছ থেকে একটি মাস্টার চাবি উদ্ধার করা হয়েছে। যা দিয়ে তারা খুব সহজে অল্প সময়ে চুরি করে মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যেত। এই সিন্ডিকেটের সদস্যরা মূলত, বাগেরহাট, খুলনা, গোপালগঞ্জ ও ফরিদপুরসহ বিভিন্ন জেলায় চুরি করতো। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চুরির কথা স্বীকার করেছে তারা। এ সিন্ডিকেটের অন্য সদস্যদের আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

তানজীম আহমেদ/এমএএস