নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচরের রোহিঙ্গা আশ্রয়ণকেন্দ্র থেকে এক কিশোরীকে ৩০ হাজার টাকায় কিনে এনে স্ত্রী পরিচয়ে চার মাস আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে ভুক্তভোগী কিশোরী ৩ জনের বিরুদ্ধে সুবর্ণচর উপজেলার চর জব্বর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। 

এর আগে গতকাল বুধবার (২৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে মোহাম্মদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মহি উদ্দিন চৌধুরী ও ইউপি সদস্য মো. নুর আলমের সহায়তায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। পরে চরজব্বার থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৪ মাস আগে দালালের মাধ্যমে ওই কিশোরীকে ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে কিনে সুবর্ণচরে নিয়ে আসেন এক যুবক। পরে উপজেলার খাসেরহাট রাস্তার মাথা এলাকার একটি বাড়িতে স্ত্রী পরিচয়ে আটকে রেখে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়। একদিন ওই যুবক বাড়িতে না থাকায় তার অপর সহযোগীও কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি বুঝতে পারলে কিশোরীকে একা রেখে পালিয়ে যান তারা। পরে ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবহিত করেন স্থানীয়রা।

মোহাম্মদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মহি উদ্দিন চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, স্থানীয়রা আমাকে বিষয়টি জানালে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করি। পরে চরজব্বার থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

ভুক্তভোগী কিশোরী জানায়, অভিযুক্ত ওই যুবক তাকে বিয়ে করেননি। তবে সে ওই যুবককে বিয়ে করতে চায়। তবে, ওই যুবকের এক সহযোগী তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে।

চরজব্বার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেব প্রিয় দাশ ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভুক্তভোগী কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় শাহদাত, কামাল ও কচি নামের  ৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

ওসি আরও বলেন, ওই কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। 

হাসিব আল আমিন/এমএএস