আগামীকাল বুধবার (০২ নভেম্বর) প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটের বিশ্বনাথে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে পৌরসভা নির্বাচন। আলোচনা-সমালোচনা ও শঙ্কা নিয়ে শেষ মুহূর্তে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। তবে পৌরসভার প্রথম নির্বাচনে ভোট দিয়ে ইতিহাসের অংশ হতে অপেক্ষায় আছেন সাধারণ ভোটাররা। 

জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর বিশ্বনাথ পৌরসভা গঠন করা হয়। এআ পৌরসভায় মোট ভোটার ৩৫ হাজার ৪৭০ জন। ইভিএমের মাধ্যমে ভোটাররা তাদের পছন্দের মেয়র, সংরক্ষিত ও সাধারণ পদের কাউন্সিলর নির্বাচন করবেন।

পৌরসভায় মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৭ জন প্রার্থী। আর সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন ৭২ জন।

সরেজমিনে বিশ্বনাথ পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে ভোটারদের উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেছে। মেয়র পদে চার প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে মনে করছেন সাধারণ ভোটাররা।

বিশ্বনাথ ইলামের গাওয়ের বাসিন্দা তজম্মুল আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিবুর রহমান তার পছন্দের ব্যক্তি। তিনি সাবেক দুইবারের উপজেলা চেয়ারম্যান। ভোটের মাঠে তিনি পাক্কা খেলোয়াড়। তাছাড়া আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একটি অংশ দলের বাইরে গিয়েও এলাকা বিবেচনায় তাকে ভোট দিতে পারেন। যে কারণে তাকে তিনি এগিয়ে রেখেছেন লড়াইয়ে।

অপরদিকে পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের ভোটার আলতাফুর আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি মেয়র পদে আমার পছন্দের প্রার্থী মুন্নাকে মোবাইল প্রতীকে ভোট দেবো। এতে ফলাফল যাই হোক না কেন তা দেখার বিষয় নয়। তবে শেষ পর্যন্ত নিজের পছন্দের প্রার্থীর বিজয় হবে বলে মনে করেন তিনি।

পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের শিমুলতলা গ্রামের বাসিন্দা আফিয়া বেগম বলেন, আগামীকাল আমি আমার জীবনের প্রথম ভোট দেবো। এটি ভেবে আমি খুবই আনন্দিত। 

বিশ্বনাথ পৌর নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও মৌলভীবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে স্থায়ী-অস্থায়ী ২০টি কেন্দ্রে ১১৮টি কক্ষে ইভিএমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই আনন্দঘন পরিবেশে নির্বাচন শেষ হবে বলে আশা করছি।

এসপি