নড়াইলে পেড়লী ইউনিয়নে মো. জারজিদ মোল্যা ও পাঁচগ্রাম ইউনিয়নে এস এম সাইফুজ্জামান চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

দলীয় প্রতীক ছাড়া বুধবার (২ নভেম্বর) কালিয়া উপজেলার পেড়লী ও পাঁচগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, পেড়লী ইউনিয়নে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে চার হাজার ৫৩ ভোট পেয়ে মো. জারজিদ মোল্যা বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চশমা প্রতীক নিয়ে মো. আনিসুল ইসলাম  তিন হাজার ৫৭৯ ভোট পেয়েছেন। চেয়ারম্যানের স্ত্রী মুর্শিদা বেগম টেলিফোন প্রতীক নিয়ে মাত্র ৭৬ ভোট পেয়েছেন।

পেড়লী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জারজিদ মোল্যা স্ত্রী মুর্শিদা বেগমসহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আনিসুল ইসলামকে পরাজিত করে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

অন্যদিকে পাঁচগ্রাম ইউনিয়নে চশমা প্রতীক নিয়ে ১ হাজার ৭৪৮ ভোট পেয়ে এস এম সাইফুজ্জামান বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীক নিয়ে মো. বাদশা মোল্যা ১ হাজার ২৯১ ভোট পেয়েছেন।

পেড়লী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী মুর্শিদা বেগম স্বামীর কাছে শোচনীয় পরাজয় প্রসঙ্গে ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘরের মধ্যেই চেয়ারম্যান আছে। স্বামীর কাছে হেরেছি এটা কষ্টের চেয়েও আনন্দের। আমার স্বামী আগে চেয়ারম্যান ছিল, পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন, আমি তার সার্বিক মঙ্গল কামনা করি।

এদিকে দুটি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ১৬ জন এবং মেম্বার পদে ৮৯ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে পেড়লী ইউনিয়নে ১০ জন এবং পাঁচগ্রাম ইউনিয়নে ছয়জন চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। পেড়লী ইউনিয়নে সংরক্ষিত নারী সদস্য (মেম্বার) পদে ১১ ও সাধারণ সদস্য (পুরুষ) পদে ৪৪ প্রার্থী ভোট যুদ্ধে নামেন। এছাড়া পাঁচগ্রাম ইউনিয়নে সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৯ জন ও সাধারণ সদস্য (পুরুষ) পদে ২৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। 

কালিয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসার বিশ্বাস সুজন কুমার ঢাকা পোস্টকে বলেন, সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। পেড়লী ইউনিয়নে ১৮ হাজার ৩৭৫ জন ভোটারের মধ্যে ১২ হাজার ৯৭৯ ভোটার ভোট দিয়েছেন। 

অন্যদিকে, পাঁচগ্রাম ইউনিয়নে ৬ হাজার ৫৪৪ জন ভোটারের মধ্যে ৪ হাজার ৮৬৯ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন।

সজিব রহমান/এসকেডি