জিয়াউর রহমানের লোলুপ দৃষ্টি ছিল রাষ্ট্রপতি হওয়ার: রাসিক মেয়র
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এ. এইচ.এম. খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, জিয়াউর রহমানের মধ্যে একটা লোলুপ দৃষ্টি ছিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হওয়ার। এজন্যই তিনি বাংলার ইতিহাসের সবচেয়ে নিকৃষ্টতম হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিলেন। তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা কখনোই এই হত্যাকাণ্ডের দায় এড়াতে পারবেন না।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ সিনেট ভবনে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
মেয়র বলেন, একজন কামরুজ্জামান যিনি ব্যক্তি জীবনে নির্লোভ ধরনের মানুষ ছিলেন। জাতীয় চার নেতার মধ্যে অদ্ভুত ধরনের চারিত্রিক মিল ছিল। আমি সবার জীবনী সম্পর্কে তাদের সন্তানদের কাছ থেকে শুনেছি। সিমলা চুক্তির পরে পাকিস্তান যাদেরকে ফিরিয়ে নেয় তাদেরকে আর চাকরিতে রাখা হয়নি। এইটাই নিয়ম যে পরাজিত কাউকে মূল কাঠামোতে রাখা যায় না।
তিনি আরো বলেন, জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করতে তারা নানা ভাবে ষড়যন্ত্র করতে থাকে। কর্নেল ফারুক রশীদের মতো আরও যারা আছে তাদের কখনও মুক্তিযোদ্ধা বলা যায় না। মুক্তিযোদ্ধাদের চেতনাকে ধারণ করলে তারা বঙ্গবন্ধুর মতো একটা বিশাল ব্যক্তিত্বকে হত্যা করতে পারত না। তারা পরিকল্পনা করে বঙ্গবন্ধু পরিবারের কাউকে জীবিত রাখবে না। কিন্তু তাদের চক্রান্ত ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান উন্নয়নই তার প্রমাণ।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, আজকের এই দিনে ৫২ বছর বয়সে তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল। প্রথম আধুনিক রাজশাহীর গোড়াপত্তন করেন কামারুজ্জামান। ১৯৭২ সাল থেকেই সেই ধারাবাহিকতায় এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন আজও অব্যাহত রেখেছেন।
উপাচার্য আগামী নির্বাচনে প্রসঙ্গে বলেন, বাঙালি জাতীয়তাবাদের বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রে দেশ কেমন হবে তার সিদ্ধান্ত আমাদের আগামী নির্বাচনে নিতে হবে।
অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক দুলাল চন্দ বিশ্বাস, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম, কোষাধক্ষ্য অধ্যাপক মো. অবায়দুর রহমানসহ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
জুবায়ের জিসান/আরকে