বিভাগীয় গণসমাবেশে যোগ দিতে বরিশালে আসার পথে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনের গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (০৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া বাজারে হামলার ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন বিএনপির গণসমাবেশ বাস্তবায়ন মিডিয়া উপ-কমিটির আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন। এছাড়া ইশরাকের আগে আসা মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজের গাড়িবহর ঢাকায় পুশব্যাক করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।

হামলায় আহতরা দাবি করেছেন, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর অনুসারীরা এই হামলার সঙ্গে জড়িত।

আরও পড়ুন : কৌশল-অপকৌশল-কূটকৌশল 

বর্তমানে ইশরাক হোসেন সেই গাড়িবহর নিয়ে জনসমাবেশস্থল বঙ্গবন্ধু উদ্যানে পৌঁছেছেন। তিনি ঢাকা পোস্টকে জানান, আমি ও দলীয় নেতৃবৃন্দ গৌরনদীর মাহিলাড়া বাজারে পৌঁছার পরপরই সড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আওয়ামী লীগের অনুগতরা হামলা চালিয়ে পালিয়ে গেছে। এতে বেশ কয়েকটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এখন আমরা বরিশাল সমাবেশস্থলে আছি।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যতই হামলা চালাক, জনজোয়ার রুখতে পারবে না। শুধু আমি নয়, সকল নেতাকর্মী শত বাধা ডিঙিয়ে বরিশালের সমাবেশস্থলে পৌঁছেছেন।

হামলায় ৯ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির ৩৮ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক সহিদুল হক সহিদ, ৩৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মামুন ভূঁইয়া, রকি, কর্মী মো. রাসেল, মো. বাবুল ও খোকন। এছাড়া ৪০ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা ইমরান, ৪২ নং ওয়ার্ড যুবদল সদস্য সচিব মাসুদ রানা, সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদল নেতা রকি ও আল আমিন।

আরও পড়ুন : কোন রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দিচ্ছে তারা? 

হামলায় আহত একজন বলেন, গাড়িটি পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে ঘিরে ধরে হামলা চালায়। এতে ইশরাক হোসেন অক্ষত থাকলেও আমরা ৯-১০ জন আহত হয়েছি।

এদিকে মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতকে গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড থেকে গাড়ি ঘুরিয়ে ঢাকার পথে ফিরিয়ে দিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

গণসমাবেশ বাস্তবায়ন মিডিয়া উপ-কমিটির আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, ইশতিয়াক আজিজ মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিলেও তাকে ঢাকার দিকে ফিরে যেতে বলে। এই কাজ তো বিএনপির নেতারা করবে না। যারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে জনজোয়ার দেখে, তারাই করেছে।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এসপি