ছেলেদের ঘরে জায়গা না পাওয়া নাটোরের শতবর্ষী অন্ধ তারা বানুর পাশে দাঁড়িয়েছেন নাটোরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) শামীম আহমেদ। শনিবার (৫ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার ছাতনী ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামে তিনি অন্ধ তারা বানুকে দেখতে যান। 

এ সময় জেলা প্রশাসক তার খোঁজখবর নেন ও ভরণপোষণসহ যাবতীয় দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এছাড়াও তিনি তারা বানুকে শীতবস্ত্রসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র প্রদান করেন। 

সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জোবায়ের হাবিব ও ছাতনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. তোফাজ্জল হোসেন সরকার এ সময় উপস্থিত ছিলেন। 

এর আগে শুক্রবার (৪ নভেম্বর) ‘অন্ধ মাকে রাস্তায় ফেলে গেলেন ছেলে, দায়িত্ব নিলেন ডিসি’ ‌ শিরোনামে ঢাকা পোস্টে সংবাদ প্রকাশিত হয়। 

শতবর্ষী অন্ধ তারা বানুর মেয়ে রায়লা বেগম বলেন, ডিসি স্যার আমার অসহায় অন্ধ মায়ের ভরণপোষণসহ যাবতীয় সব কিছুর দায়িত্ব নিয়েছেন। এই জন্য স্যারকে ধন্যবাদ জানাই। যেখানে তার নিজের ছেলেরা তাকে রাস্তায় ফেলে দিয়েছেন, সেখানে ডিসি স্যার নিজে দায়িত্ব নিয়েছেন আমার মায়ের। এজন্য আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তিনি একজন মানবিক মানুষ।

নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, শতবর্ষী অন্ধ তারা বানু যত দিন বেঁচে থাকবেন, তার ভরণপোষণের জন্য যা যা দরকার সব জেলা প্রশাসন দেবে।

এদিকে শতবর্ষী অন্ধ তারা বানুর বাড়ি থেকে আসার পর শনিবারদুপুরে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জেলা প্রশাসক একটি পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, শতবর্ষী অন্ধ তারা বানুকে তার সন্তানরা রাতের আঁধারে রাস্তায় ফেলে দেন। নাটোর জেলা প্রশাসন আন্তরিকতার সঙ্গে এই মায়ের যাবতীয় দায়িত্বভার গ্রহণ করেছে। আজ তারা বানুর সহায়তায় শীতবস্ত্র প্রদান করা হয়।

তাপস কুমার/আরএআর