আগে গ্যাস নেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় ছুরিকাঘাতে সিএনজিচালক নিহত

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় আগে গ্যাস নেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় ছুরিকাঘাতে এক সিএনজিচালক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরেক মাইক্রোবাসচালক।

নিহত সিএনজিচালক জলিল মিয়া উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের আলীনগর বস্তি এলাকার বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার (০৪ মার্চ) রাতে শমশেরনগর ইউনিয়নের বড়চেগ সিএনজি পাম্পে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে জানান শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন।

এদিকে সিএনজিচালক জলিল মিয়াকে হত্যার প্রতিবাদে শুক্রবার (০৫ মার্চ) সকালে শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন অটোরিকশা শ্রমিক ও নিহতের স্বজনেরা।‌

জলিল মিয়ার ভাই কাসেম মিয়া বলেন, পাম্প থেকে আগে গ্যাস নেওয়াকে কেন্দ্র করে শমশেরনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শফি আহমদের প্রাইভেটকারচালক হামিদ মিয়ার সঙ্গে জলিলের তর্কাতর্কি হয়। এর জেরে সংঘর্ষ শুরু হলে জলিলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত পৌনে ১১টার দিকে সাবেক চেয়ারম্যান শফি আহমদকে বহনকারী প্রাইভেটকার গ্যাস নিতে পাম্পে আসে। তখন আগে গ্যাস নেওয়া নিয়ে প্রাইভেটকারচালক হামিদ মিয়ার সঙ্গে জলিলের তর্কাতর্কি হয়। এর জেরে সংঘর্ষ শুরু হলে জলিলকে ছুরিকাঘাত করা হয়।

সিএনজিচালক হত্যার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা

শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন বলেন, আগে গ্যাস নেওয়ার জন্য প্রাইভেটকারের লাইনে ঢুকে পড়েন সিএনজিচালক জলিল। এ নিয়ে সাবেক চেয়ারম্যানের গাড়িচালকের সঙ্গে জলিলের তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। খবর পেয়ে আশপাশের গ্রাম থেকে সাবেক চেয়ারম্যানের সমর্থক ও সিএনজিচালকরা জড়ো হন। কিছুক্ষণ পরই তাদের মধ্যে সংঘর্ষ লেগে যায়। এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হন জলিল ও মাইক্রোবাসচালক মনির মিয়া। এলাকাবাসী গুরুতর অবস্থায় জলিল মিয়াকে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসকি চিকিৎসা কর্মকর্তা সাজেদুল কবির বলেন, সিএনজিচালকের শরীরে অনেক ছুরিকাঘাত ছিল। সিলেট নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়েছে।

সিএনজিচালকের মৃত্যুতে এলাকাবাসী ও অটোরিকশাচালকরা সকালে শমশেরনগর-কমলগঞ্জ সড়ক অবরোধ করেন। পরে আসামিদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন তারা।

কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি। এরই মধ্যে সিএনজিচালক হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।

ওমর ফারুক নাঈম/এএম