বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপমন্ত্রী অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী গণসমাবেশে আওয়ামী লীগ সরকারকে হলুদ কার্ড দেখাবে বিএনপি। এরপর বিএনপি আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকার গণসমাবেশে সরকারকে লাল কার্ড দেখিয়ে ক্ষমতা ছাড়া করবে। ঢাকার গণসমাবেশের মাধ্যমে অবৈধ সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা হবে। দেশের জনগণের জন্য ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে এভাবেই কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবে বিএনপি।

মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সভায় তিনি এসব কথা বলেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্লাব (টাউন ক্লাব) মিলনায়তনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. গোলাম জাকারিয়া।

অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশগুলো ঠেকাতে পারেনি। সরকার যানবাহন চলাচল বন্ধ করে, হামলা করেও এসব গণসমাবেশ ব্যর্থ করতে পারেনি। পায়ে হেঁটে, নৌকা, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল, ভটভটিতে করে জনগণ গণসমাবেশে উপস্থিত হয়েছে। দেশের সব বিভাগীয় গণসমাবেশে জনগণের উপস্থিতি প্রমাণ করেছে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ সরকারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন দেশে দুর্ভিক্ষ আসছে। কারণ তিনি ভালোই জানেন দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা কি। রিজার্ভ কমে গেছে, দেশে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিয়েছে। এর প্রধান কারণ আওয়ামী লীগ সরকারের এমপি-মন্ত্রীরা লাগামহীন অনিয়ম ও দুর্নীতি করে দেশে লুটপাটের রাজনীতি কায়েম করেছে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে সবকিছুই বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীর গণসমাবেশেও সরকার নানারকম বাধার সৃষ্টি করবে। তিন দিন আগে গণপরিবহন বন্ধ হলে আপনারা চার দিন আগেই সভাস্থলে পৌঁছাবেন। রাতে সেখানে অবস্থান করবেন। রাতে আমরা আপনাদের সেখানে থাকা ও খাবারের ব্যবস্থা করব। কোনো বাধাই এই গণসমাবেশ বন্ধ করতে পারবে না। আপনারা প্রয়োজনে হেঁটে, নৌকায় হলেও গণসমাবেশ সফল করবেন। এসময় সকল মতভেদ ভুলে সরকারের পতনের আন্দোলনে মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম, নাচোল উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মজিবুল হক, জেলা বিএনপির সদস্য ইয়াজদানি জয়ার্জ, রফিকুল ইসলাম বুলবুল, সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ওবায়েদ পাঠান প্রমুখ। 

মো. জাহাঙ্গীর আলম/এমজেইউ