রায়পুর থানা

নরসিংদীর রায়পুরা থানা পুলিশের হেফাজতে রিমান্ডে থাকা এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম সুজন মিয়া (৩৫)। বুধবার (৯ নভেম্বর) সকালে রায়পুরা থানার হাজতখানার বাথরুমে গলায় শার্ট পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানায় রায়পুরা থানা পুলিশ। 

সুজন মিয়া উপজেলার মাহমুদপুর এলাকার মুজিবর রহমানের ছেলে। তিনি নিজ স্ত্রী হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছিলেন।

গত শনিবার মধ্যরাতে স্ত্রী লাভলী বেগমের সাথে ঝগড়ার একপর্যায়ে সুজন মিয়া ধারালো ছুরি দিয়ে তার পেটে আঘাত করে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় নিহতের মা মালেকা বেগম সুজনকে প্রধান আসামি করে রায়পুরা থানায় মামলা করলে। সোমবার বিকেলে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে ফরিদপুর জেলার সদরপুর থানার আটরশি দরবার শরীফের পাশ থেকে নরসিংদী জেলা পুলিশের একটি দল আসামিকে গ্রেপ্তার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তিনি প্রাথমিকভাবে অপরাধের বিষয়টি স্বীকার করেন। পরদিন বিকেলে তাকে আদালতে রিমান্ডের আবেদন করলে দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়। 

সুজনকে ওইদিন রাতে রিমান্ডের উদ্দেশে রায়পুরা থানায় রাখা হয়। সকালে থানা হাজতে খাবার দিতে গেলে বাথরুমের জানালার রড়ের সাথে শার্ট পেঁচানো অবস্থা তার ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়। পরে তাকে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। এছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মৃতের লাশ সুরতহাল করা হয় এবং নরসিংদী জেলা পুলিশ তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুরউদ্দিন জাহাঙ্গীর বলেছেন, আজ সকাল সাড়ে ১০টায় পুলিশের একজন কয়েদি আমাদের এখানে স্পটডেট হয়ে আসে। পরে আমরা ইসিজি সহ নানা পরীক্ষা করে বিষয়টি নিশ্চিত হই। কীভাবে ঘটনা ঘটছে তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আল আমিন জানান, সুজন সকাল পৌনে ১০টার দিকে রায়পুরা থানা হাজতের ওয়াশরুমে পরনের শার্ট খুলে আত্মহত্যা করে। বিস্তারিত অনুসন্ধানে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করা হয়েছে।

মিল্টন দাস/আরকে