শতাধিক বাস নিয়ে যুব সমাবেশে যাচ্ছে লক্ষ্মীপুরের নেতাকর্মীরা
যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত যুব সমাবেশে যোগ দিতে যাচ্ছেন লক্ষ্মীপুরের ১০ হাজার নেতাকর্মী। প্রায় ১ বছর ২ মাস ধরে লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের কমিটি না থাকলেও পদ-প্রত্যাশীরা যুব সমাবেশ সফল করতে বাস, মাইক্রোবাস ও লঞ্চযোগে ঢাকার উদ্দেশ্যেই রওয়ানা হবেন। এতে একটি লঞ্চ, শতাধিক বাস ও ৩ শতাধিক মাইক্রোবাস ভাড়া নিয়েছেন বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা। এতে রং বেরংয়ের গেঞ্জি ও ক্যাপ পরিহিত নেতাকর্মীরা লক্ষ্মীপুরের অবস্থান জানান দেবে সমাবেশস্থলে।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু, জেলা কমিটির সভাপতি প্রার্থী নজরুল ইসলাম ভুলু, বায়েজীদ ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী চৌধুরী মাহমুদুন্নবী সোহেল ও রায়পুর পৌর যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক তানজীদ কামালের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
তারাই সাড়ে ৭ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে সমাবেশস্থলে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন। এছাড়া রামগতি, কমলনগর, রামগঞ্জ ও রায়পুর উপজেলা-পৌর ইউনিট ভিন্ন ভিন্ন শোডাউন দিয়ে সমাবেশস্থলে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী শেখ জামান রিপন, সৈয়দ নুরুল আজিম বাবর, আবদুল জব্বার লাভলু, ইউনুস হাওলাদার রূপম, রাকিব হোসেন লোটাস ও আশরাফুল আলম বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে সামবেশস্থলে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন।
এর আগে গত ৩০ অক্টোবর লক্ষ্মীপুর টাউন হল মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শেখ ফজলে নাঈমের উপস্থিতে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। তখন সমাবেশ সফল করতে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা কমিটির পদপ্রত্যাশি ও বিভিন্ন ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা।
বিজ্ঞাপন
একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু জানান, তিনি একটি লঞ্চ ভাড়া নিয়েছেন। রাতেই মজুচৌধুরীরহাট ঘাট থেকে লঞ্চটি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেবে। তিনি প্রায় দেড় হাজার নেতাকর্মী নিয়ে সমাবেশে উপস্থিত হবেন। নেতাকর্মীদের খাবারের জন্য দুটি গরু কিনেছেন তিনি।
নজরুল ইসলাম ভুলু জানান, দেড় হাজার নেতাকর্মী নিয়ে তিনি সমাবেশের উদ্দেশ্যে রাতেই যাত্রা করবেন। লক্ষ্মীপুর থেকে ১২টি বাস ও ২৯টি মাইক্রোবাসে নেতাকর্মীদের নেওয়া হবে। বাকি নেতাকর্মীরা ঢাকা থেকে যোগ দেবে।
বায়েজীদ ভূঁইয়া বলেন, প্রায় ১৬০০ নেতাকর্মী নিয়ে আমি সমাবেশে যোগ দেব। লক্ষ্মীপুর থেকে ৭টি মাইক্রোবাস ও ৪১টি মাইক্রোবাস রাজধানীর উদ্দেশ্যে রাতেই ছেড়ে যাবে।
চৌধুরী মাহমুদুন্নবী সোহেল বলেন, আমি ৩ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে সুপ্রিমকোর্ট এলাকায় অবস্থান করবো। সেখান থেকে শোডাউন দিয়ে বিভাগীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে সমাবেশস্থলে প্রবেশ করবো। ১২টি বাস ও ৩৫টি মাইক্রোবাস নেতাকর্মীদের নিয়ে সকালেই ঢাকায় পৌঁছাবে।
রায়পুর পৌর যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক তানজীদ কামাল বলেন, আমি ২৫০ জন নেতাকর্মীকে নিয়ে সমাবেশে যোগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। সেই প্রতিশ্রুতি নিয়েই আমি সমাবেশে যোগ দেব।
হাসান মাহমুদ শাকিল/এমএএস