খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক

‘রপ্তানিযোগ্য চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ রোধে স্টেকহোল্ডারদের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে খুলনার গল্লামারী মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার সম্মেলন কক্ষে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, রপ্তানিযোগ্য চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করা যেকোনো মূল্যে বন্ধ করতে হবে। কিছু দুষ্ট লোকের জন্য সম্ভাবনাময় এ সেক্টরকে ধ্বংস হতে দেওয়া যায় না। মৎস্যখাতকে রক্ষা করতে চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। 

তিনি বলেন, মৎস্য উৎপাদন যেমন বৃদ্ধি করতে হবে, তেমনি উৎপাদিত মাছের মান বজায় রাখতে হবে। দেশের মৎস্য সেক্টরে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। চিংড়ি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী পণ্য। সাদা সোনা খ্যাত চিংড়ি মাছ বিদেশে রপ্তানি করে প্রতি বছর বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। অপদ্রব্য মেশানো চিংড়ি মাছ বাংলাদেশ থেকে যাতে বিদেশে রপ্তানি না হয় সেদিকে মৎস্য সেক্টরের সাথে জড়িতদের খেয়াল রাখতে হবে। কারণ এর সঙ্গে দেশের স্বার্থ জড়িত।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) সৈয়দ মো. আলমগীর, খুলনা মৎস্য দপ্তরের বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো. তোফাজউদ্দিন আহমেদ, কোয়ালিটি কন্ট্রোল ল্যাবের কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স ম্যানেজার ড. এস. এম. রেজাউল করিম, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফএমআরটি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. খন্দকার আনিসুল হক এবং বিএফএফইএ’র সহ-সভাপতি এস হুমায়ুন কবির। সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খুলনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল।

সেমিনারে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, খুলনার ৯টি উপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, মৎস্য চাষী, মৎস্য ব্যবসায়ী ও স্টেকহোল্ডাররা অংশ নেন।

মোহাম্মদ মিলন/আরকে