দীর্ঘ আট বছর পর বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ (১৬ নভেম্বর)। বরগুনা সার্কিট হাউস ইদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সড়ক পরিবরহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। 

সকাল ১০টায় সম্মেলন উদ্বোধন করবেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য এমপি আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ। সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দীন নাসিম। 

জানা যায়, বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৪ সালের ১৫ নভেম্বর। ওই সম্মেলনের সভাপতি নির্বাচিত হন পাঁচবারের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর কবির। তারা দুজনই ৩০ বছর ধরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদক পদে আছেন। এবারও তারাই নেতৃত্বে থাকবেন কিনা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েক দিন। 

তবে দীর্ঘ বছরে নেতৃত্বে পরিবর্তন না হওয়ায় বঞ্চিত হচ্ছেন স্বৈরশাসক বিরোধী আন্দোলন ও এর জামায়েত ও বিএনপির বিরুদ্ধে মাঠ কাঁপানো ছাত্র নেতারা। তাই সাবেক এসব ছাত্রনেতাদের দাবি, প্রবীণ-নবীনের সংমিশ্রণে একটি শক্তিশালী কমিটি করা হোক।

বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সারোয়ার টুকু বলেন, বরগুনাসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলে আওয়ামী লীগের রাজনীতি অনেক সমৃদ্ধ। বহু বরেন্দ্র রাজনীতিবিদের উত্থান হয়েছে দক্ষিণাঞ্চল থেকে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের বরগুনা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। আমাদের এই বরগুনা তথা গোটা দক্ষিণাঞ্চল হচ্ছে আওয়ামী লীগের শক্তিশালী ঘাঁটি।

তিনি বলেন, ২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জামায়াত-বিএনপি নানাভাবে সক্রিয় হয়ে উঠছে। ঠিক তখনই বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এটা দলকে উজ্জীবিত করবে। তবে বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হলে নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে একটা শক্তিশালী কমিটি এখন সময়ের দাবি।

বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বলেন, দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে সভাপতি পদে থেকে দলকে সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করে আসছি। তার আগেও আমি দুই মেয়াদে সাধারণ সম্পাদকের পদে দায়িত্ব পালন করেছি। তাই নবীনদের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আমি আমার পদ থেকে সরে দাঁড়াতেও রাজি আছি। দল সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী থাকুক এটাই আমার কামনা।

খান নাঈম/এসপি