বীর মুক্তিযোদ্ধা লাঞ্ছিত, অভিযুক্তদের শাস্তি দাবি
নীলফামারীর ডিমলায় গত ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবসের অনুষ্ঠানে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলামকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে জেলা শহরের ডিসির মোড় বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন ছয় উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডাররা। শহরের আলিয়া মাদ্রাসার মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ডিসির মোড় বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল চত্বরে মিলিত হয়।
বিজ্ঞাপন
মানববন্ধনে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডিমলা উপজেলার সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক, জলঢাকা উপজেলার সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুর রহমান, ডোমার উপজেলার সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুন্নবী ইসলাম, কিশোরগঞ্জ উপজেলার সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান, সৈয়দপুর উপজেলার সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক, সদর উপজেলার সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল ও সদর উপজেলার সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবুল হোসেনসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন। এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলামসহ তার পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকারের ছোট ভাইয়ের ছেলে আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফেরদৌস পারভেজ ও সংসদ সদস্যের ফুফাতো ভাইয়ের ছেলে ছাত্রলীগ সভাপতি আবু সায়েম সরকার কর্তৃক লাঞ্ছিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলাম। এছাড়াও রাজাকার বলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, প্রাণনাশের হুমকি ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন বক্তারা।
বিজ্ঞাপন
মানববন্ধন শেষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক আজাহারুল ইসলামের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন মুক্তিযোদ্ধারা।
গত ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবসের অনুষ্ঠানে পতাকা উত্তোলন করার সময় জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে ভোট না করায় উপজেলা যুবলীগ নেতা ফেরদৌস পারভেজসহ বেশ কয়েকজন উপজেলা চেয়ারম্যানকে পতাকা উত্তোলনে বাধা দিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন এবং রাজাকার বলে গালি দেন। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন ওই বীর মুক্তিযোদ্ধা।
এসএসএইচ