গুলি লেগেছিল বিজিবি সদস্য নেপালের শরীরে : চিকিৎসক
জয়পুরহাটে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সদস্য নেপাল দাসের শরীরে পাওয়া ক্ষতের চিহ্নগুলো গুলির বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সরদার রাশেদ মোবারক ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, নিহতের শরীরে বন্দুকের গুলির ক্ষত রয়েছে। পিঠে, বুকে ও ডান হাতে ক্ষতের চিহ্ন আছে। এটি দেখে মনে হয়, পিঠ দিয়ে গুলি ঢুকে বুক দিয়ে বের হয়ে গেছে। তাছাড়া ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর বিষয়টি পরিষ্কার বলা যাবে।
বিজ্ঞাপন
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিজিবি সদস্য নেপালকে হাসপাতালে আনা হয়। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রাতেই লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে লাশ বিজিবি ক্যাম্পে নেওয়া হয়।
জয়পুরহাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম সারোয়ার ঢাকা পোস্টকে বলেন, লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন করা হয়েছে। লাশ দেখে মনে হয়েছে গুলিবিদ্ধ। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এ ব্যাপারে জানতে বিজিবি-২০ জয়পুরহাট ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। ফলে বিজিবির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নিহত বিজিবি সদস্যের নাম নেপাল দাস (৩১)। তিনি ২০ বিজিবি জয়পুরহাট ব্যাটালিয়নে সিপাহী পদে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার মেঘচামী এলাকায়। নেপাল ওই এলাকার নারায়ণ দাসের ছেলে।
মেঘচামী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাব্বির উদ্দিন শেখ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাকে রাত পৌনে ৩টার দিকে জয়পুরহাট ক্যাম্প থেকে কল করা হয়েছিল। সম্ভবত তিনি অধানায়ক ছিলেন। উনি বললেন, নেপাল একটি দুর্ঘটনায় মারা গেছে। আমি বললাম কি দুর্ঘটনা? তখন আমাকে বলল, গুলি লেগে মারা গেছে। আমি রাতেই পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছি। তারা জয়পুরহাটে চলে গেছে।
চম্পক কুমার/এসপি