সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ চলছে। শনিবার (১৯ নভেম্বর) বেলা ১১টায় সমাবেশ শুরু হয়েছে। এতে হঠাৎ করেই নগরীতে বন্ধ হয়ে গেছে যান চলাচল। ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ।

সিলেট শহরের অভ্যন্তরে বাস চলাচল না করায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং রিকশাকেই  প্রধান বাহন হিসেবে ধরা হয়। নগর ঘুরে দেখা যায়, রাস্তায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা নেই বললেই চলে। যানবাহন কম থাকার সুযোগে পূর্বের চেয়ে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ ভাড়া দাবি করছেন রিকশাচালকরা। এতে করে ভাড়া নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

এদিকে সমাবেশকে ঘিরে নগরীর মোড়ে মোড়ে পুলিশের অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় শহরে টহল দিচ্ছে পুলিশ। 

নগরে সিএনজি না থাকার সুযোগে স্বল্প দূরত্বে রাস্তায় চলছে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক এবং রিকশা। স্বল্প দূরত্বেও তারা ভাড়া দাবি করছেন ইচ্ছা মতো। 

ইজিবাইক চালক রতন মিয়া বলেন, আজকে নগরে সিএনজি কম কিন্তু যাত্রীর চাপ অনেক। এজন্য আমরা ইজিবাইক নিয়ে বের হয়েছি। রাস্তায় গাড়ি না থাকায় অনেকেই বেশি ভাড়া দাবি করছেন।

শাবি শিক্ষার্থী আদনান হোসেন বলেন, নগরে হঠাৎ করেই যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে বিপাকে পড়তে হচ্ছে আমাদের। এছাড়া সিলেটে সিএনজি চালকদের অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করা এটা অনেক পুরোনো অভ্যাস। তারা নতুন কোনো অজুহাত পেলেই ভাড়া ইচ্ছেমতো বাড়িয়ে দেন। এবারও তার ব্যত্যয় ঘটেনি।

সিলেট নগরীর পাঠানটুলা এলাকার বাসিন্দা মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, নগরে যান চলাচল বন্ধ। আমরা আমাদের জরুরি কাজেও বাইরে যেতে পারছি না। অল্প যে কয়টি গাড়ি চলছে চালকরা তাতে অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করছেন। এতে করে ভোগান্তি তো আমাদের মতো সাধারণ মানুষেরই হচ্ছে।

আরএআর