দুর্নীতি ও অনিয়মের সংবাদ প্রকাশের জেরে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীসহ গাইবান্ধার তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে।

মামলার অন্য তিন আসামি হলেন, দৈনিক মানবজমিনের গাইবান্ধা প্রতিনিধি সিদ্দিক আলম দয়াল, আনন্দ টেলিভিশনের প্রতিনিধি মিলন খন্দকার এবং দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার প্রতিনিধি রবিন সেন।

শনিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে গাইবান্ধা শহরের ডিবি রোডের আসাদুজ্জামান স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে প্রেসক্লাব গাইবান্ধার সভাপতি খালেদ হোসেনের সভাপতিত্বে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা অংশ নেয়। মানববন্ধনে সাংবাদিক ছাড়াও সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ অংশ নেয়।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, প্রেসক্লাব গাইবান্ধার সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান রাজু, সিনিয়র সহ-সভাপতি রবিন সেন, সাংগঠনিক সম্পাদক রিপন আকন্দ, দপ্তর সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ, সহ দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জান্নাতুন নাঈম, সাংবাদিক জালাল উদ্দিন, শহিদুল হক, গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মিলন খন্দকার, সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম প্রিন্স, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারহান শেখসহ অনেকে।

বক্তারা বলেন, গাইবান্ধা জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জাতীয় পার্টির নেতা আতাউর রহমান আতার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এতে তিনি ক্ষুদ্ধ হয়ে তার জামাই এ এস এম আশরাফুল ইসলামকে বাদী করে গত ৭ জুন গাইবান্ধার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। সম্প্রতি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত শুরু করলে মামলার বিষয়টি জানতে পারেন সাংবাদিকরা।

বক্তারা আরও বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের ও জাতির উন্নয়নে কাজ করে। সমাজের অসংগতি তুলে ধরে। এ কারণে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা ক্ষেপে ওঠেন। তারা সাংবাদিককে হয়রানি করতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। আমরা তা হতে দেব না। তাই অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।

মানববন্ধন শেষে সাংবাদিকরা শহরের ১নং ট্রাফিক মোড়ে এক মিনিটের জন্য কলম, ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন রেখে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে।

রিপন আকন্দ/এমএএস