গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার গাজীপুরের ভাওয়াল রাজবাড়ি মাঠে মহানগর আওয়ামী লীগের এ কমিটির নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
 
নতুন এ কমিটিতে মহানগর আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খানকে সভাপতি এবং ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মো. আতাউল্লাহ মন্ডলকে ভারমুক্ত করে সাধারণ সম্পাদক করে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সম্মেলনে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সাধারণ সম্পাদক মো. আতাউল্লাহ মন্ডল। 

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এমপি, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি এমপি, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, সদস্য অ্যাডভোকেট এবিএম রিয়াজুল কবীর কাওছার, আনোয়ার হোসেন, সাহাবুদ্দিন ফরাজী ও ইকবাল হোসেন অপু এমপি, গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ এমপি, শামসুন নাহার ভূঁইয়া এমপি ও অধ্যাপিকা রুমানা আলী টুসি এমপি প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি।

সম্মেলনে সভাপতি পদে দুইজন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ১৬ প্রার্থী তাদের পদেও সিভিসহ আবেদন জানান। পরে যাচাই বাছাই করে সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের ওই কমিটির শীর্ষ দুই পদের মনোনীত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন।

এদিন সকালে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের দলীয় নেতা-কর্মীরা রঙ-বেরঙয়ের ক্যাপ, টিশার্ট পরে এবং হাতে ব্যানার ও ফেস্টুন, বাদকদল সহকারে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সম্মেলনস্থলের বাইরে অবস্থান নেন।

মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বাস-ট্রাক-অটো করে শহরে প্রবেশ দ্বারে পৌঁছেন। পরে তারা সেখান থেকে মিছিল নিয়ে হেঁটে হেঁটে অনুষ্ঠানস্থলের দিকে রওনা দেয়। বেলা ১১টার দিকে অনুষ্ঠানস্থল ভাওয়াল রাজবাড়ি মাঠের ফটকগুলো খুলে দেওয়া হয়। এসময় মাঠের ভেতরে ঢুকার জন্য মিছিলকারীদের হুড়োহুড়ি শুরু হয়।

মুহূর্তের মধ্যেই পুরো মাঠ লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। বেলা সোয়া ১১টার মধ্যে সম্মেলনস্থল ভাওয়াল রাজবাড়ি মাঠ অনেকটাই পূর্ণ হয়ে যায়। 

শিহাব খান/এমএএস