দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকেন ডাকাতরা। এরপর অস্ত্রের মুখে ঘরে থাকা লোকজনকে জিম্মি করে বেঁধে ফেলেন। পরে তারা ওই ঘর থেকে প্রায় ৩১ ভরি স্বর্ণ, দুটি ডায়মন্ড সেট, নগদ ৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকাসহ প্রায় ৩৭ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যান। 

সোমবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম।

তিনি আরও বলেন, গত ২৭ অক্টোবর রাতে সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের পূর্বপাড়ার চাঁদ মিয়া বেপারি বাড়ির জাকির হোসেনের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গত ২৮ অক্টোবর থানায় মামলা করেন। গতকাল রোববার (২০ নভেম্বর) রাতে নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রামের পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে ৭ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের ছানা উল্যার ছেলে খোরশেদ আলম টিপু (৩৭), ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চরচান্দিয়ার মহিষচর গ্রামের নূর নবীর ছেলে নূর কাশেম মোহন (২৬), ভোলার তজুমুদ্দিনের দক্ষিণ চাচড়া গ্রামের সোলো মাঝির ছেলে ইউছুফ (৩৫), নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে ফারুক (৪০), বেগমগঞ্জের ছয়ানী ইউনিয়রে বড় মেহেদীপুর গ্রামের আবদুস সোবহানের ছেলে মুরাদ হোসেন (২৫), সদর উপজেলার দাউদপুর গ্রামের মনশাদ হানিফের ছেলে রুবেল (২৬) ও সেনবাগের গাজীরহাট গ্রামের সেলিম উদ্দিনের ছেলে নূর ইসলাম (৩৫)

পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারকৃত ৭ জন আন্তজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে একটি পাইপগান, দুটি শাবল, তিনটি দা ও ১৯ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে পুলিশের এ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মোর্তাহীন বিল্লাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) নাজমুল হাসান রাজিব, সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম, সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া উল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

হাসিব আল আমিন /আরএআর