লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে ঘিরে নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। সবার আগে সম্মেলনস্থলে প্রবেশ করতে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী ও সমর্থক ছুটে এসেছেন। সোমবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকেই তারা জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন।

এদিকে রায়পুর পৌরসভার কাউন্সিলর মেহেদী হাসান শিশির পাঠান, পৌর যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক তানজীদ কামাল ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক তারেক আজিজ জনি ৭০০ নেতা-কর্মী নিয়ে জেলা আউটার স্টেডিয়ামে অবস্থান নিয়েছেন।

এছাড়া সদর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক তাফাজ্জল হোসেন চৌধুরী টিটুর নেতৃত্বে একটি মিছিল সম্মেলনস্থলে যায়। ছোট ছোট মিছিল নিয়ে অন্যান্য নেতা-কর্মীরাও শহরে অবস্থান জানান দিয়েছেন। এতে শহরটি জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে। মেঘনা তীরবর্তী রামগতি উপজেলা থেকে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা আকবর হোসেন সুখীও শহরে অবস্থান করছেন।

অন্যদিকে রাতে সম্মেলনস্থল পরিদর্শন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু ও সাধারণ সম্পাদক নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়নসহ সিনিয়র নেতারা।

দলীয় সূত্র জানায়, সবশেষ ২০১৫ সালের ৩ মার্চ জেলা স্টেডিয়ামে আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ৭ বছর ৮ মাস পর মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সকাল ১০টার দিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, বিশেষ অতিথি মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, প্রধান বক্তা যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ।

রায়পুর উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক তারেক আজিজ জনি জানান, তারা ৭০০ নেতাকর্মী ও সমর্থক নিয়ে আউটার স্টেডিয়াম এলাকা অবস্থান নিয়েছেন। সকালেই সম্মেলনস্থলের গেট খুললে তারা প্রবেশ করবেন। সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন এমপির পক্ষে তারা অবস্থান নেবেন।

সভাপতি প্রার্থী ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান জানিয়েছেন, রামগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকেই রাতেই তার সমর্থনে প্রায় ২ হাজার নেতা-কর্মী জেলা শহরে এসে পৌঁছান। জেলা পরিষদ চত্বরে তাদের খাওয়া ও থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক রাসেল মাহমুদ মান্না বলেন, সম্মেলনস্থলে রাতে কারো থাকার সুযোগ নেই। গেট বন্ধ রয়েছে। সকালে গেট খোলা হবে। তখন সবাই সম্মেলনস্থলে  প্রবেশ করবে।

লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন বলেন, এটি লক্ষ্মীপুরের ইতিহাসে সেরা সম্মেলন হবে। নেতা-কর্মীদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। কয়েক হাজার নেতা-কর্মী রাতেই শহরে অবস্থান নিয়েছেন।

হাসান মাহমুদ শাকিল/এসকেডি