মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর গ্রামের ধলেশ্বরী নদীর ওপর নির্মিত সেতুর রেলিং ব্যবহার করে বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইন টানা হয়েছে। আর লাইন টাঙাতে গিয়ে সেতুর পুরো অংশের রেলিংকে খুঁটি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এ অবস্থায় সেতুটিকে বৈদ্যুতিক খুঁটি হিসেবে মনে হচ্ছে। 

সরেজমিনে দেখা যায়, মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার বেতকা চৌরাস্তা থেকে বালুচর বাজার হয়ে যাওয়ার রাস্তার উপর নির্মিত সেতুর পূর্ব পাশের রেলিং দিয়ে টানা হয়েছে বিদ্যুৎ লাইন। ওই সেতুর এক প্রান্তে সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর গ্রাম ও অপর প্রান্তে রয়েছে চর বালুচর গ্রাম। এই সেতু দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করে অসংখ্য যানবাহন। সেতুতে পণ্যবাহী যানবাহন ছাড়াও সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ইজিবাইক ও ভ্যান গাড়ি চলাচল করছে। 

বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইন টানার কারণে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চর বালুচর গ্রামের বাসিন্দারা। তাদের মধ্যে শহিদুল আলম নামে একজন বলেন, উপজেলার বালুচর ইউনিয়নসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ এ সেতু দিয়ে ঢাকায় যাতায়াত করেন। অথচ সেতুর রেলিংয়ে লোহার ক্যাপ লাগিয়ে বিদ্যুতের লাইন টানা হয়েছে। এতে পুরো সেতুই এখন বৈদ্যুতিক খুঁটিতে পরিণত হয়েছে।

অটোরিকশাচালক সোহেল বলেন, সেতুর রেলিংয়ের সঙ্গে বৈদ্যুতিক তার লোহা দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সেতুতে যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাছাড়া রেলিংয়ে হাত রেখে অনেকে শিশু-কিশোর চলাফেরা করে থাকে। এতে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

জানা গেছে, ধলেশ্বরী নদীর উপর এই সেতুর নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করেছে এলজিইডি। ২০১০-১১ অর্থবছরে ৩ কোটি ২ লাখ টাকা ব্যয়ে এ সেতু নির্মাণ করা হয়। তবে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ জানেন না সেতুতে চলে যাওয়া বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইন টানার খবর।

সিরাজদিখান উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো. রেজাউল ইসলাম বলেন, সেতুতে পল্লী বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন রয়েছে তা আমার জানা নেই। আপনার কাছেই প্রথম শুনলাম। যদি সেতুর উপর দিয়ে বৈদ্যুতিক লাইন টানা হয়ে থাকে, তবে তা দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সিরাজদিখান পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম খন্দকার মাহমুদুল হাসান বলেন, শিগগিরই আমরা বিদ্যুতর লাইন সরিয়ে ফেলব। বিকল্প সঞ্চালন লাইন করা হয়েছে।

মুন্সীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম (কারিগরি) মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ বলেন, সেখানে বিকল্প বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইন টানা হয়েছে। খুব শিগগিরই সেতু থেকে বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন সরিয়ে নেওয়া হবে।

ব.ম শামীম/এসপি