গাজীপুরের টঙ্গীতে ফোন করে ডেকে নিয়ে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (২৬ নভেম্বর) রাতে টঙ্গীর পূর্ব থানার এরশাদ নগরের নীলাচল হাউজিং সোসাইটি প্রকল্প এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত যুবকের নাম আশিক (২২)। তিনি স্থানীয় সোলায়মান হোসেন সেলু মিয়ার ছেলে। আশিক এলাকায় অটোরিকশা চালাতেন।

টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফুল ইসলাম নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে বলেন, বেশ কিছু দিন আগে মো. আশরাফ নামে স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে আশিকের মতবিরোধ হয়। বিষয়টি স্থানীয়রা মীমাংসা করে দেয়। শনিবার রাতে হঠাৎ অপরিচিত নম্বর থেকে একটি কল আসে আশিকের ফোনে।

আশিককে জানানো হয়, এক ব্যক্তিকে ছিনতাইকারী সন্দেহে আটক করা হয়েছে। তাকে আশিক চেনে কি না শনাক্ত করার জন্য নীলাচল হাউজিং সোসাইটির প্রকল্প এলাকায় যেতে বলে। এ সময় আশিক তার দুই বন্ধু বেলাল ও রাব্বিকে নিয়ে যায়। তারা প্রকল্প এলাকায় গেলে কয়েকজন মিলে তাদের ওপর হামলা করে। এ সময় বেলাল ও রাব্বি পালিয়ে যায়। পরে তারা আশিককে লাঠি দিয়ে মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে আশিকের চিৎকারে প্রথমে স্থানীয়রা ও পরে আশিকের পরিবার ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ আশিককে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেলের হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেলের হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালে পুলিশ আশিকের লাশ নিয়ে আসে। এ সময় ভুল বোঝাবুঝির কারণে আশিকের কয়েকজন বন্ধু আশিকের হত্যাকারী সন্দেহে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা কয়েকজন যুবকের ওপর হামলা চালায়। এ সময় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের জানালার গ্লাস ভাঙচুর করে তারা। পরে পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ওসি আশরাফুল ইসলাম বলেন, রোববার সকাল পর্যন্ত এ ব্যাপারে মামলা হয়নি। তবে ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শনিবার রাতেই ৯ জনকে আটক করা হয়েছে।

শিহাব খান/এসপি