১০ দফা দাবিতে নৌযান শ্রমিকদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ভোলার যাত্রীরা। ভোলা থেকে নৌযান ছাড়া অন্য কোনো মাধ্যমে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য জেলায় যাতায়াতের কোনো সুযোগ না থাকায় এক প্রকার বন্দি হয়ে পড়েছেন এখানকার বাসিন্দারা। পণ্য পরিবহনেও অচল অবস্থা দেখা দিয়েছে। 

হঠাৎ করে এমন কর্মবিরতির খবর পেয়ে হতবাক লঞ্চযাত্রীরা। বিভিন্ন ঘাটে গিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ছুটি শেষে চাকরিতে যোগদান, রোগী নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা-বরিশাল যাওয়াসহ বিভিন্ন জরুরি প্রয়োজনে ঘাটে আসা যাত্রীরা চরম বিড়ম্বনায় পড়েছেন। 

ভোলার ইলিশা ঘাটে ঢাকাগামী যাত্রী মো. হান্নান জানান, ঢাকা থেকে ছুটি নিয়ে তিনি বাড়িতে এসেছিলেন। আজকে তার ছুটি শেষ হয়ে যাওয়ায় চাকরিতে যোগদানের জন্য ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে ঘাটে এসেছেন। ঘাটে এসে জানতে পারেন হঠাৎ করে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন শ্রমিকরা। কোনো লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে না। তাই চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন।

আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, আগামীকাল ঢাকায় আমার পরীক্ষা রয়েছে। এজন্য ঢাকায় যাওয়া খুব জরুরি। তাই বিকল্পভাবে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে হলেও আমাকে যেতে হবে।

এদিকে লঞ্চ শ্রমিকরা জানান, তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে।

কর্ণফুলী-৩ লঞ্চের মাস্টার মো. নূরুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন ধরেই বেতনভাতা বাড়ানো এবং কোনো শ্রমিক মারা গেলে তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়াসহ ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছিলেন লঞ্চের শ্রমিকরা। লঞ্চ মালিকরা শ্রমিকদের দাবি মেনে না নেওয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য তারা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন। যতদিন তাদের এই দাবি মেনে নেওয়া না হবে,ততদিন পর্যন্ত তারা এই ধর্মঘট চালিয়ে যাবেন। 

ভোলার বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম জানান, নৌ শ্রমিকরা তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ না করেই হঠাৎ এই কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন। কর্মবিরতি প্রত্যাহার করানোর বিষয়ে তার কোনো কিছু করার নেই বলেও জানান তিনি।

আরএআর