কুষ্টিয়া মডেল থানা

কুষ্টিয়া মডেল থানায় উপসচিবসহ পাঁচজন নির্বাচনী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এনআইডি (জাতীয় পরিচয়পত্র) জালিয়াতি করে শতকোটি টাকার সম্পত্তি আত্মসাৎ চেষ্টার অভিযোগে কুষ্টিয়া মডেল থানায় চারজন ও কুমারখালী থানায় একজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) এই মামলা দুটি করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবির ও কুমারখালী থানার ওসি মজিবুর রহমান।

আসামিরা হলেন ঢাকার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব নওয়াবুল ইসলাম, মাগুরা সদরের উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা অমিত কুমার দাস, কুষ্টিয়া নির্বাচন অফিস সহকারী জিএম সাদিক সত্যবাদী, ফরিদপুরের অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার ছামিউল আলম। এরমধ্যে কুমারখালী থানায় ছামিউল আলমের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, এনআইডি জালিয়াতি করে শতকোটি টাকার সম্পত্তি আত্মসাৎ চেষ্টার অভিযোগে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন তদন্ত করে। তদন্তে জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতির সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে আমাকে নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর বৃহস্পতিবার দুপুরে কুষ্টিয়ায় এবং কুমারখালী থানায় বিকেলে তাদের নামে মামলা দায়ের করি।

ওসি শওকত কবির ঢাকা পোস্টকে বলেন, এনআইডি জালিয়াতি করে শতকোটি টাকার সম্পত্তি আত্মসাৎ চেষ্টার অভিযোগে জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার মামলা দায়ের করেছেন। আমরা তদন্ত করছি।

রাজু আহমেদ/এমএসআর