জিয়াউর রহমানের হাতে বঙ্গবন্ধু পরিবারের রক্ত এবং খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের হাতে আইভি রহমানসহ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের রক্ত লেগে আছে বলে মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র কাছারিবাড়ি মিলনায়তনে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে এক মতবিনিময় সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে স্বাধীনতা বিরোধীরা আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। গত ২০১৪ সালে যেভাবে আগুন-সন্ত্রাসের মাধমে তারা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল তারা আবারো সন্ত্রাসের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করছে।

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারে কে এম খালিদ বলেন, আশা করছি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জমিতেই শান্তিনিকেতনের আদলে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশাল ক্যাম্পাস হবে। যেখানে শিক্ষার্থীরা মুক্তবুদ্ধি ও সংস্কৃতির চর্চা করবে। আজ থেকে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শিক্ষা ও সংস্কৃতির চর্চার ক্ষেত্র হিসেবে বিনা মূল্যে কাছারিবাড়ি ব্যবহার করবে।

অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহ আজমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক মেরিনা জাহান কবিতা, সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চয়ন ইসলাম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আজাদ রহমান, পৌর মেয়র মনির আক্তার খান তরু লোদী, উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের পরিচালক ড. মোছা. নাহিদ সুলতানা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ড. জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী প্রমুখ।

এসময় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহ আজম বলেন, কেবল পুথিগত বিদ্যার মধ্য দিয়ে স্নাতক সম্পন্ন নয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় দৃষ্টি দেয় শিক্ষার্থীদের সংবেদনশীলতার অনুশীলনে। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সহশিক্ষামূলক সংগঠন শিক্ষার্থীদের মানবিক মননশীলতা গঠনে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। তবে স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকায় সেসব কর্মকাণ্ড কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। তবে খুব শিগগিরই স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের প্রস্তাবনা সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলে পাঠানো হবে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামাঙ্কিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বিনামূল্যে কাছারিবাড়ি ব্যবহারের কথা জানিয়ে উপাচার্য বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কাছারিবাড়ি প্রাঙ্গণ ব্যবহার করে শিক্ষা ও সংস্কৃতির চর্চা করলে রবীন্দ্রভাবনা ও সংস্কৃতি প্রেমী শিক্ষার্থীরা এ দেশের সংস্কৃতি চর্চায় নেতৃত্ব দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করবে।

শুভ কুমার ঘোষ/এমজেইউ