অতিরিক্ত দামে সার বিক্রির অভিযোগ, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক
নওগাঁয় অতিরিক্ত দামে সার বিক্রি
নওগাঁর সাপাহারে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে অতিরিক্ত মূল্যে সার বিক্রির অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) ও বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্প করপোরেশনের (বিসিআইসি) ডিলারদের বিরুদ্ধে। তারা সরকারি নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অতিরিক্ত দামে সার বিক্রি করছেন বলে দাবি স্থানীয় কৃষকদের। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকেরা।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন উপজেলার খুদারামবাটি মহিলিপুর গ্রামের সাইদুল ইসলামের ছেলে সোবহান আলী। তিনি অভিযোগের অনুলিপি নওগাঁ জেলা প্রশাসক, জেলা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এবং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বরাবর দাখিল করেছেন।
বিজ্ঞাপন
সোবহান আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ বছর ‘সুফলা ট্রেডার্সের মালিক শ্রী মৃনাল সাহার কাছ থেকে ধান চাষের জন্য প্রতি বস্তা ডিএপি ১৪০০ টাকায় এবং এক বস্তা টিএসপি ১৭০০ টাকায় কিনেছি। কিন্তু সার ক্রয়ের রশিদ চাইলে নির্ধারিত মূল্যের রশিদ প্রদান করে, অতিরিক্ত টাকা লেখা হয় না।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন সারের বাজার ঘুরে দেখা যায়, ৮০০ টাকা মূল্যের ডাই অ্যামোনিয়া ফসফেট (ডিএপি) ৯০০-১৪০০ টাকায় এবং ১১০০ টাকার ট্রিপল সুপার ফসফেট বা টিএসপি বিক্রি হচ্ছে ১২০০-১৭০০ টাকায়। এতে কৃষককে বস্তা প্রতি অতিরিক্ত গুনতে হচ্ছে ১০০-৫০০ টাকা।
বিজ্ঞাপন
নাম জানাতে অনিচ্ছুক সাপাহারের একাধিক কৃষক জানান, বিএডিসি ও বিসিআইসির অনুমোদিত উপজেলার প্রতিটি সার দোকানে মূল্য তালিকা থাকার পরও নির্ধারিত দামে মিলছে না সার। আবার অতিরিক্তি দামে সার ক্রয়ের পর রশিদ চাইলেও দেওয়া হয় না। রশিদ চাইলে সার দিতে অপারগতা জানান ডিলাররা। সরকার স্যারের দাম কমালেও আমাদের কোনো উপকার হচ্ছে না। কেনার সময় ডিলাররা দাম অনেক বেশি নিচ্ছে। এতে প্রতি বস্তায় ৫০০-৬০০ টাকা বেশি দিতে হচ্ছে আমাদের।
অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়ে সুফলা ট্রেডার্সের মালিক শ্রী মৃনাল সাহা বলেন, আমি দোকানে বেশি সময় দিতে পারি না। বাবুল হোসেন নামের একজন ম্যানেজার থাকে তার কাছ থেকে শুনে আপনাদের জানাতে পারবো। পরে মুঠোফোনে অনেক বার কল দিলেও সে আর ফোন রিসিভ করেননি।
সাপাহার উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মুনিরুজ্জামান বলেন, দাম বেশি নেওয়ার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি কিন্তু কোনো প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে না। প্রমাণ পেলে ডিলারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আব্দুল্যাহ আল মামুন বলেন, অতিরিক্তি দামে সার বিক্রির বিষয়টি তদন্ত চলছে। প্রমান পেলে ডিলারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরিফুল ইসলাম রনক/আরকে