ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে নেই গণপরিবহনের চাপ
ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে টাঙ্গাইল থেকে কোনো গণপরিবহন ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়নি। এমনকি বাস টার্মিনালে ঢাকাগামী পরিবহনের সামনে যাত্রীদের তেমন চাপ দেখা যায়নি। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে জেলায় এমন চিত্র দেখা গেছে।
টাঙ্গাইলের পরিবহন নেতারা জানিয়েছেন, একদিকে যাত্রী কম, অন্যদিকে গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল থেকেই টাঙ্গাইল নতুন বাস টার্মিনাল থেকে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। এছাড়া ঢাকা- টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে তেমন পরিবহনের চাপ নেই। উত্তরবঙ্গ থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়েও দুই একটি বাস ছাড়া কোনো গণপরিবহন ঢাকার দিকে যেতে দেখা যায়নি। এ কারণে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক ছিল গণপরিবহন শূন্য।
বঙ্গবন্ধু সেতু টোল প্লাজা সূত্র জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় (৯ ডিসেম্বর রাত ১২টা থেকে ১০ ডিসেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত) বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে গণপরিবহনসহ ছোট বড় মিলে ১৬ হাজার ৬১৬টি পরিবহন সেতু পারাপার হয়েছে। এতে ঢাকাগামী পরিবহনের সংখ্যার থেকে উত্তরবঙ্গগামী পরিবহনের সংখ্যা বেশি ছিল। এ সময়ে সেতুর পূর্ব টোলপ্লাজা অতিক্রম করেছে ৯ হাজার ১৩৯টি। এতে টোল আদায় হয়েছে ৮৬ লাখ ১ হাজার ৭০০ টাকা এবং সেতুর পশ্চিম টোল প্লাজা অতিক্রম করেছে ৭ হাজার ৪৭৭টি পরিবহন। এতে টোল আদায় হয়েছে ৭১ লাখ ২১ হাজার ৮০০টাকা।
বিজ্ঞাপন
টাঙ্গাইল বাস-কোচ-মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব গোলাম কিবরিয়া বড় মনি জানান, তারা মিটিং করে মালিকদের বাস চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বলেছেন। এরপরও যদি তারা রুটে বাস না নামায় সেক্ষেত্রে তার কিছু করার নেই।
বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান মাসুদ বাপ্পী জানান, স্বাভাবিকের তুলনায় সেতু দিয়ে কম পরিবহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে যাত্রীবাহী পরিবহনের সংখ্যা কম ছিল।
অভিজিৎ ঘোষ/এসপি