শেখ হাসিনা ছাড়া কেউ আমার খোঁজ রাখে না: কাদের মির্জা
বসুরহাট পৌরসভা চত্বরে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন কাদের মির্জা
বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার খবর রাখেন, দিক-নির্দেশনা দেন। আর কেউ আমার খোঁজ-খবর রাখেন না। মঙ্গলবার (৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় বসুরহাট পৌরসভা চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রশাসনের ছত্রছায়ায় গতকাল খিজির হায়াত, বাদল ও রাহাত বাহিনীর সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা বসুরহাট বাজারের নিরীহ ব্যবসায়ীদের ওপর অতর্কিত হামলা, লুটপাট, মুজিব শতবর্ষ উদযাপনের মঞ্চ ভাঙচুর করেছে। ২০০ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বসুরহাট বাজারের আলেয়া টাওয়ারে আমার ব্যক্তিগত অফিস ভাঙচুর করেছে। এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরের ছবি ভাঙচুর করে তারা।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, ৪৭ বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত আছি। এই ৪৭ বছর ওবায়দুল কাদের সাহেবের সঙ্গে ছিলাম। আজ তারা ওবায়দুল কাদের সাহেবের লোক। অথচ যখন তাকে রাজাকার বলেছে আমি ছাড়া কেউ প্রতিবাদ করেনি।
হামলা সম্পর্কে তিনি বলেন, গতকাল খিজির হায়াত খান সিমেন্ট দোকানে আওয়ামী লীগের অফিস উদ্বোধন করতে গেছেন। আমি তাকে সরে যেতে বলেছি। আমি তাকে রিকশায় উঠিয়ে দিয়েছি। এ সময় হয়ত তার পাঞ্জাবি কিছুটা ছিঁড়তে পারে। কিন্তু পরে দেখলাম পাঞ্জাবি বড় করে ছিঁড়ে নাটক করেছেন।
বিজ্ঞাপন
সাংবাদিক মুজাক্কির হত্যার বিচারের বিষয়ে বলেন, মুজাক্কির হত্যার বিচার যদি এই আদালতে না হয় তাহলে আল্লাহর আদালতে ঠিকই হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাকে যদি আওয়ামী লীগ থেকে বের করে দেওয়া হয় তাহলে আমি বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সদস্য হিসেবে কাজ করে যাব। তারপরও অন্যায়, অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলে যাব।
উল্লেখ্য, সোমবার (৮ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এ সময় খিজির হায়াত খানকে লাঞ্ছিত করেছেন মেয়র কাদের মির্জার সমর্থকরা। এরপর রাত ৮টায় বসুরহাট পৌরসভার বঙ্গবন্ধু চত্বরের সামনে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ, গুলি ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
হাসিব আল আমিন/এসপি