গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ওয়াজ মাহফিল করতে এসে হেনস্তার শিকার হয়েছেন আলোচিত ইসলামী বক্তা মো. আফছানুল আদনান (আবু ত্ব-হা মোহাম্মদ আদনান)। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তাকে হেনস্তা করার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, ত্ব-হা ও তার তিন সহকারীকে ঘিরে রেখেছেন স্থানীয় লোকজন। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে ত্ব-হার ব্যবহৃত মাইক্রোবাসসহ তাদের অবরুদ্ধ করেন বিক্ষুব্ধ জনতা। সেখানে তার এক সহকারীকে রাস্তায় টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

আরও পড়ুন : ফরিদপুরে আবু ত্বহাকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা

শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কোচাশহর ইউনিয়নের মোকন্দপুর জামে মসজিদের উদ্যোগে আয়োজিত ওয়াজ মাহফিলে এ ঘটনা ঘটে।

মসজিদ কমিটির কয়েকজন সদস্য ও এলাকাবাসী জানান, মোকন্দপুর জামে মসজিদের উদ্যোগে ওয়াজ মাহফিলে আবু ত্ব-হা মোহাম্মদ আদনানকে আনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সে অনুয়ায়ী তার সহকারী আবদুল আলিমের সঙ্গে যোগাযোগ করে ৫০ হাজার টাকা চুক্তিতে প্রধান বক্তা করা হয় ত্ব-হাকে। গত ৮ নভেম্বর প্রথম দফায় ২০ হাজার টাকা নেন ত্ব-হার ব্যক্তিগত সহকারী মাওলানা শায়েখ আবদুল আলিম। বাকি টাকা ওয়াজ শেষে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে ত্বহার ব্যক্তিগত সহকারী ফোন করে জানান পুরো টাকা ছাড়া তারা ওয়াজে উপস্থিত থাকবেন না। পরে বাধ্য হয়ে আরও ২০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠায় আয়োজক কমিটি। ওয়াজে আসার পর দেওয়া হয় বাকি ১০ হাজার টাকা।

আরও পড়ুন : আবু ত্ব-হার সন্ধান চাইলেন শিল্পী আসিফ

দুই ঘণ্টা বক্তব্য দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি পৌনে ৫টায় বক্তব্য শুরু করে সোয়া ৫টায় শেষ করে চলে যাচ্ছিলেন। এসময় তার কথামতো তাকে আরও দেড় ঘণ্টা বক্তব্য দিতে বলা হয়। তিনি অনীহা প্রকাশ করলে আয়োজক কমিটির সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এর একপর্যায়ে স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হন। পরে সহকারীসহ আধা ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখা হয় ওই ধর্মীয় বক্তাকে।

আয়োজক কমিটি ও মসজিদ কমিটির সদস্য বোরহান উদ্দিন লেলিন বলেন, হুজুরের সঙ্গে কথা ছিল তিনি দুই ঘণ্টা বক্তব্য দেবেন। কিন্তু তিনি মাত্র ৩০ মিনিট বক্তব্য দেন। এ নিয়ে জনগণ ক্ষিপ্ত হয়েছিল।

আরও পড়ুন : ক্রিকেটার গিটারিস্ট থেকে ইসলামি বক্তা কে এই আবু ত্ব-হা

এ ব্যাপারে কোচাশহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, আবু ত্ব-হা মোহাম্মদ আদনান কথা দিয়ে কথা রাখেননি। তাই লোকজন ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন। আমি লোক পাঠিয়ে তাদের উদ্ধার করি।

তবে সহকারীসহ ত্ব-হাকে হেনস্তা করার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।

এ বিষয়ে আবু ত্ব-হা মোহাম্মদ আদনানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

রিপন আকন্দ/এমজেইউ