প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। সৈকতে পর্যটকদের খাবারের তালিকায় ফিশ ফ্রাই অন্যতম। সারা দিন কুয়াকাটার সৌন্দর্য উপভোগ করে সন্ধ্যায় ফিশ ফ্রাই খাওয়ার লাইন পড়ে। ভিড় জমে কাঁকড়া ও ফিশ ফ্রাইয়ের দোকানগুলোতে। এ সময় নারী-পুরুষ ও শিশুদের পদচারণায় মুখর থাকে এলাকা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সামুদ্রিক মাছ, অক্টোটোস, লইট্যা, রূপসা, টুনা ফিশ, ইলিশ, পোয়া ও কোরালের পাশাপাশি কাঁকড়ার প্রচুর চাহিদা রয়েছে। পছন্দের মাছটি কিনে তারা চাহিদা অনুযায়ী ভেজে বা বারবিকিউ করে খান।

ব্যবসায়ীরা জানায়, কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত প্রতিনিয়ত বাড়ছে নতুন নতুন মাছের সংযোজন। এখানে বহু প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। পর্যটকরাও খেয়ে তৃপ্তি পাচ্ছে।

ঢাকা থেকে আসা পর্যটক আলমাস বলেন, আমি যতবার কুয়াকাটায় এসেছি, ফিশ ফ্রাই খেয়েছি। না হলে যেন কিছু একটা মিস করছি এমন মনে হয়। কুয়াকাটাতে সামুদ্রিক বিভিন্ন প্রজাতির তাজা মাছ পাওয়া যায়। পরিবারের যার যা ভালো লাগছে সে সেটায় খাচ্ছে। 

গাইবান্ধা থেকে এসেছেন আব্দুল কাদের নামে এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, আজ আমি টোনা মাছ অর্ডার করছি। এখানে আরও অনেক মাছ আছে। পোয়া ও চিংড়ি মাছও আছে। তবে টোনা ফিশটাই বেশি ভালো লাগে। এখানকার পরিবেশও ভালো।

কুয়াকাটায় ঘুরতে আসা‌ অসিম মৃধা বলেন, টানা তিন দিনের ছুটিতে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে হাজার হাজার পর্যটক এসেছেন। এখানকার পরিবেশ অনেক সুন্দর। 

ফ্রাই মার্কেটের দোকানদার শফিউল্লাহ বলেন, আমার দোকানে লাক্ষা, চিংড়ি, রূপচাঁদা, কোরালসহ বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক মাছ ফ্রাই হয়। আমরা সুস্বাদু খাবার পরিবেশন করতে চেষ্টা করি। 

মাহমুদ হাসান রায়হান/এসপি