মাদারীপুরে ড্রেজার ব্যবসা নিয়ে দুপক্ষের দ্বন্দ্বে প্রতিপক্ষের হামলায় ৪ জন আহত হয়েছেন। রোববার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে সদর উপজেলার মহিষেরচর এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। একজনের অবস্থা গুরুতর হাওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
 
আহতরা হলেন- মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের মহিষেরচর এলাকার জামাল হাওলাদার (৬৪), শাহীন হাওলাদার (৩৮), সোহেল হাওলাদার (৩৪), শিহাব হাওলাদার (২১)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাঁচখোলা ইউনিয়নের মহিষের চর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ড্রেজার ব্যবসা করে আসছিলেন পারভেজ খাঁ ও শাহীন হাওলাদার। গত শনিবার শাহীন হাওলাদার একই জায়গায় দুটি ড্রেজার বসালে ক্ষিপ্ত হয়ে পারভেজ খাঁ ও তার ভাই শাওন খাঁ তাদের লোকজনরা মিলে শাহীনের ড্রেজারের পাইপ ভেঙে ফেলে। এ সময় বাঁধা দিতে গেলে ড্রেজার ব্যবসায়ী শাহীন হাওলাদার ও সোহেল হাওলাদারকে কুপিয়ে জখম করেন তারা। এই ঘটনায় জেরে রোববার সকালে দ্বিতীয় দফায় শাহীন হাওলাদারের পক্ষের জামাল হাওলাদার ও শিহাব হাওলাদারের ওপর আবারও হামলা করেন তারা। এ সময় তাদের দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। পরে গুরুতর অবস্থায় জামাল হাওলাদারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শাহীন হাওলাদার বলেন, আমরা প্রতিদিন এখানে ড্রেজার বসিয়ে বালি উত্তোলন করি। ওরা আমাদের ড্রেজারের পাইপ ভেঙেছে। বাধা দিলে উল্টো আমাদেরকে কুপিয়ে জখম করে। এর বিচার চাই।

আরেক ড্রেজার ব্যবসায়ী পারভেজ বলেন, আমরা যেখানে ড্রেজার দিয়ে বালি কাটি প্রতিদিন শাহীন সেখানেই ড্রেজার বসায়। আমরা বলার পরেও শোনে না। এ কারণে পাইপ ভেঙেছি। তবে তারা নিজেরাই মারামারি করেছে। 

মাদারীপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পারভেজকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটকের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। 

রাকিব হাসান/আরকে