আন্তঃজেলা চোর চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে নীলফামারী পুলিশ। চক্রটির সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে চালকদের চেতনানাশক খাইয়ে ইজিবাইক চুরি করতেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রেস ব্রিফ্রিংয়ে নীলফামারীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোস্তাফিজুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে নীলফামারীর সৈয়দপুর ও গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার আলমগীর হোসেন, গাইবান্ধা সদর উপজেলার দুখু মিয়া ও জাহাঙ্গীর আলম এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলার রাজু মিয়া।

পুলিশ সুপার বলেন, গত সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সৈয়দপুর উপজেলার ক্যান্টবাজার মোড় এলাকায় তরল পানীয়ের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে রিমন নামে এক চালককে খাইয়ে তার ইজিবাইক চুরি করে পালিয়ে যাচ্ছিল। এসময় ইজিবাইক চালকের চিৎকারে স্থানীয়রা আলমগীরকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ আলমগীরকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তার দেওয়া তথ্যমতে পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে গাইবান্ধার বিভিন্ন এলাকা থেকে চক্রটির আরও ২ সদস্য রাজু মিয়া ও জাহাঙ্গীর আলম এবং চোরাই অটো ক্রেতা মো. দুখু মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, চক্রটি স্প্রাইট ও অনান্য তরল জাতীয় জিনিসের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে চালকদের খাওয়াতেন। এতে চালকরা কিছুটা চেতনাহীন বোধ করলে তারা তার ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যেতেন। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নীলফামারীর সৈয়দপুর এবং গাইবান্ধার বিভিন্ন স্থান থেকে চোরাইকৃত ব্যাটারিচালিত ৩টি ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়েছে।

এসপি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় সৈয়দপুর থানায় একটি নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। সকালে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সারওয়ার আলম, সৈয়দপুর থানা পুলিশের ওসি সাইফুল ইসলাম ও ডিবির ওসি আখেরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

শরিফুল ইসলাম/এমজেইউ