পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বিশ্বে যত প্রবাসী আছেন সবাই এনআইডি (জাতীয় পরিচয়পত্র) কার্ড পাবেন এজন্য তাদেরকে দেশে আসতে হবে না। বিদেশে বসেই প্রবাসীরা এনআইডি কার্ড পাবেন।

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সিলেটের শহরতলীর একটি অভিজাত হোটেলে করদাতাদের সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রবাসীরা জমিজমা নিয়ে বিভিন্ন সময় সমস্যায় পড়েন এজন্য র‍্যাপিড ট্রাইবুন্যাল করার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। তা এখনো পাস হয়নি। পাস হলে অনেক সমস্যার সহজেই সমাধান হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রবাসীদের জন্য ভিন্ন সুবিধার কথা চিন্তা করে গত ২৭ ডিসেম্বর মন্ত্রীসভায় প্রবাসী দিবস পালন করার অনুমোদন করা হয়। প্রতি বছর ৩০ ডিসেম্বর এ দিবসটি পালন করা হবে। 

কর দেওয়ার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, কর না দিলে আমরা কোনো কিছুই প্রত্যাশা করতে পারি না। দেব না অথচ নেব এটা হতে পারে না। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই সেখানে আহরিত রাজস্বের অধিকাংশই আসে আয়কর থেকে। বৈদেশিক সাহায্যের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে আত্মনির্ভরশীল জাতি গড়ে তুলতে আয়কর বিভাগকে শক্তিশালী করা প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, দুনিয়ার সবদেশে ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা আছে। কিন্তু সকল দেশই ট্যাক্স আহরণের ক্ষেত্রে নতুন নতুন পলিসি গ্রহণ করে। আমাদেরকেও সেদিকে খেয়াল করতে হবে।

সম্মাননা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমেদ পিপিএম, বাংলাদেশ ট্যাক্স লইয়ার্স এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক শফিকুর রহমান, সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি তাহমিন আহমদ প্রমুখসহ সিলেট বিভাগের সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী, করদাতা প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।

প্রসঙ্গত, করদাতাদের সম্মাননা অনুষ্ঠানে সিটি করপোরেশন পর্যায়ে সিলেট সিটি করপোরেশন ও জেলা পর্যায়ে সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার জেলা থেকে মোট ১০ জন দীর্ঘমেয়াদী সর্বোচ্চ করদাতা নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া ১৫জন সর্বোচ্চ ৫ জন নারী, ৫ জন তরুণ পুরুষ করদাতা নির্বাচিত হয়েছেন।

মাসুদ আহমদ রনি/আরকে