উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসন থেকে সদ্য পদত্যাগ করা সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে তিনি লিখিত পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার ছেলে মাঈনুল হাসান তুষার। 

উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে একাধিকবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য। তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছিলেন।

জানা গেছে, ধানের শীষ প্রতীকে ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে নির্বাচিত হন উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া। রাজনৈতিক নানা টানাপোড়নে বিএনপির আরও ছয়জন সংসদ সদস্যের সঙ্গে উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়াও দলীয় সিদ্ধান্তে গত ১১ ডিসেম্বর সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর নির্বাচন কমিশন আসনটি শূন্য ঘোষণা দিয়ে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি  উপ-নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দেয়। 

সংসদ সদস্য থেকে পদত্যাগের পর উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়ার বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রতিও অসন্তোষের গুঞ্জন ছড়িয়েছে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, জীবনের বেশির ভাগ সময় রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে থাকা উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া এখন বয়সের ভারে ন্যুব্জ। ১৯৭৯ সালে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে বিএনপির টিকিটে দুইবার এমপি নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে জোটকে আসনটি ছেড়ে দিলে টেকনোক্র্যাট কোটায় তিনি তিন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। 

এ ব্যাপারে উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়ার ছেলে মাঈনুল হাসান তুষার বলেন, পুরো জীবন বিএনপিকে উৎসর্গ করলেও দল বর্তমানে তাকে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না। দলের গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্ত নিতে উনাকে ডাকা হচ্ছে না। দলের কর্মকাণ্ডে মনে হচ্ছে আমার বাবার আর প্রয়োজন নেই। তাই তিনি নিরিবিলি থাকাটাই শ্রেয় মনে করেছেন। তাই পরিবারসহ সকল আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে পরামর্শ করেই দল থেকে পদত্যাগ করেছেন তিনি। 

বাহাদুর আলম/আরএআর