সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার বাসিন্দা দরিদ্র সোলেমান আলী (৫০)। মরণব্যাধি ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকায় জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের চিকিৎসাধীন আছেন। কিন্তু অর্থের অভাবে ওষুধ কিনতে পারছে না তার পরিবার।

পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হাসপাতালের শয্যায় কাতরাচ্ছেন। অর্থের অভাবে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এমন দুর্দশায় চিকিৎসার জন্য সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন সোলেমান আলী ও তার পরিবার।

ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত সোলেমান আলী সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কুশোডাঙ্গা গ্রামের মৃত মেছের আলীর ছেলে। বাজারে শাকসবজি বিক্রি করে সংসার চলতো তার। অসচ্ছল পরিবারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ছিলেন সোলেমান। তিনি ২ ছেলে ও ২ মেয়ের বাবা। মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে। এক ছেলের বয়স দেড় বছর। আরেক ছেলে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়েন। সোলেমান আলী বর্তমানে জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের ৬ নম্বর শয্যায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে অর্থের অভাবে প্রায় থেমে গেছে চিকিৎসা।

সোলেমান আলীর স্বজন ও প্রতিবেশীরা বলেন, বেশ কয়েক মাস থেকে তিনি অসুস্থ। তার ফুসফুসে ক্যানসার ধরা পড়েছে। সুস্থ থাকা অবস্থায় তিনি বাজারে শাকসবজি বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিজের যা কিছু ছিল তা বিক্রি করে দিয়েছেন। তিনি ঢাকায় ক্যানসার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কিন্তু টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। সরকার বা বিত্তবানরা তাকে সহযোগিতা করলে তার চিকিৎসা করা সম্ভব হবে।

সোলেমান আলীর ভাতিজা মোস্তাফিজুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার চাচা ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। কেমোথেরাপি দেওয়া প্রয়োজন বলে ডাক্তার জানিয়েছেন। খুব দ্রুত চিকিৎসা না করালে সারা শরীরে ক্যানসারের জীবাণু ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে ডাক্তার জানিয়েছেন। কিন্তু কেমোথেরাপি দেওয়া ও ওষুধ কেনার টাকা নেই। ব্যয়বহুল চিকিৎসার খরচ চালানোর জন্য সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা চাচ্ছি।

সমাজের বিত্তশালী ও সরকারের কাছে আর্থিক সাহায্য কামনা করে সোলেমান আলী বলেন, আমরা খুবই গরিব। আপনারা সহযোগিতা করুন, আমাকে বাচাঁন। টাকার অভাবে ওষুধ কিনতে পারছি না। কেমোথেরাপি দিতে অনেক টাকার প্রয়োজন। আমার পক্ষে এত টাকা সংগ্রহ করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। সরকার ও বিত্তবানরা এগিয়ে এলে আমি ওষুধ কিনতে পারব, কেমোথেরাপি নিতে পারব।

রাজু আহমেদ/এমজেইউ