ধর্ষণের পর খুন করে নদীতে ফেলে দেওয়ার ৭ দিন পর পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার রূপারচর সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে ভাসমান অবস্থায় সেই শিশু লামিয়ার (১২) অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে গভীর সাগর থেকে মরদেহটি তীরে আনা হয়। 

মরদেহ উদ্ধার অভিযানে থাকা চরমোন্তাজ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সজল কান্তি দাস বলেন, মরদেহ উদ্ধারকালে শিশুর গায়ে থাকা জামা এবং তাকে যে চাদর দিয়ে পেঁচিয়ে ফেলা হয়েছিল সেটিও পাওয়া যায়। তবে শরীরের বিভিন্ন অংশ পচে গলে বিকৃত হয়ে গেছে। মরদেহ তীরে এনেছি। পরিবার শনাক্ত করার পর ময়নাতদন্তে পাঠানো হবে।

রাঙ্গাবালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, রূপারচর সংলগ্ন শীবচর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরের গভীর সাগর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। আইনি প্রক্রিয়া ও সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হবে।

উল্লেখ্য যে, গত ৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরআন্ডা গ্রামের একটি দোকান থেকে নিত্য প্রয়োজণীয় পণ্য কিনে ফেরার পথে নিখোঁজ হয় ওই শিশু। পরদিন ৭ জানুয়ারি দুপুরে চরআন্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকার একটি পুকুর পাড় থেকে তার পায়ের একটি জুতা আর বাজার থেকে কেনা রসদ ও খাল সংলগ্ন বিলের মাঝে তার ওড়না পাওয়া যায়। নিখোঁজের এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ওইদিন রাতে আল আমিন নামের এক অটোরিকশা চালককে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে স্থানীয় লোকজন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিশুটিকে অপহরণ করে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে খুন করার পর বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে ফেলে দেওয়ার বিষয়টি পুলিশের কাছে স্বীকার করে ওই অটোচালক। এ ঘটনায় ৮ জানুয়ারি রাতে রাঙ্গাবালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়।

মাহমুদ হাসান রায়হান/আরকে