গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব চলছে। দেশ-বিদেশের লাখো মুসল্লির আগমনে ইজতেমা মাঠ ও টঙ্গীর আশপাশ মুখরিত হয়ে উঠেছে। আগামীকাল রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকালে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের ইজতেমার প্রথম পর্ব।

আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন তাবলিগ জামাতের কাকরাইলের শুরা সদস্য হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ জুবায়ের। 

ইজতেমার প্রথম পর্বের মিডিয়া সমন্বয়ক মুফতি জহির ইবনে মুসলিম ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আখেরি মোনাজাত সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে সুবিধাজনক সময়ে শুরু হবে।

এদিকে শনিবার (১৪ জানুয়ারি) বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় দিন বাদ ফজর ঈমান ও আমলের বয়ান দিয়ে শুরু হয়। বয়ানের ফাঁকে মুসল্লিরা জিকির-ইবাদতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ফজরের নামাজের পর মাওলানা খুরশিদ আলমের বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ইজতেমার দ্বিতীয় দিন। 

ইজতেমাকে ঘিরে টঙ্গীর তুরাগপাড়ে এখন টুপি আর পাঞ্জাবি পরা মানুষের ভিড়। শনিবারও ইজতেমায় মুসল্লিদের আসতে দেখা গেছে। এ আগমন আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে জানান ইজতেমার আয়োজক কমিটির সদস্য প্রকৌশলী মো. মাহফুজ।

ইজতেমা মাঠ ঘুরে দেখা যায়, বিশাল চট দিয়ে নির্মিত প্যান্ডেলের নিচে খিত্তায় অবস্থান করছেন মুসল্লিরা। তবে যারা খিত্তায় প্যান্ডেলের নিচে জায়গা পাননি তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও কামারপাড়া সড়কের দুই পাশের ফুটপাতে কিংবা খোলা জায়গায় অবস্থান নিয়েছেন। ইজতেমা ময়দান এলাকায় বহুতল ভবনের ছাদে পাটি-চট দিয়ে বিছানা পেতে বয়ান শুনছেন কেউ কেউ। 

নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা মুসল্লি আজহারুল ইসলাম জানান, শুক্রবার রাতে টঙ্গী পৌঁছান তিনি। কিন্তু ততক্ষণে ইজতেমা মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। তাই মাঠের ভেতরে ঢোকার সুযোগ না পেয়ে সড়কের পাশে চট বিছিয়ে রাত কাটিয়েছেন। 

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, আগামীকাল বেলা ১১টার মধ্যে বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। 

প্রসঙ্গত, তাবলিগ জামাতের নিজেদের মধ্যে বিরোধের কারণে এবারও বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা ইজতেমা পালন করবেন ১৩ থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। আর সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা ইজতেমা পালন করবেন জানুয়ারির ২০, ২১ ও ২২ তারিখে। সে হিসেবে এখন যারা মাঠে আছেন তারা সবাই মাওলানা জুবায়েরপন্থি।

শিহাব খান/আরএআর