নরসিংদীর পলাশ উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান পাপনকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার সামসুর টেক এলাকায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মো. রুবেল মিয়া ও তার সহযোগীরা পাপনকে ধরে নিয়ে গিয়ে গুলি করেন। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেয় বিএনপি। এরই ধারাবাহিকতায় বিকেল ৩টার দিকে ওই কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা ছিল। কর্মসূচিতে যোগ দিতে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান পাপন উপজেলা এলাকায় উপস্থিত হন। সেখানে দাঁড়িয়ে ঘোড়াশাল পৌরসভা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান ও সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম আরিফসহ ছাত্রদলের অন‍্যান‍্য নেতাকর্মীর সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মো. রুবেল মিয়া তার দলবল নিয়ে পাপনকে সেখান থেকে তুলে নিয়ে যান। পরে তার বাড়ির পাশে সামসুর টেকে নিয়ে হত‍্যার উদ্দেশ‍্য তাকে গুলি করেন। পাপন মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। গুলির শব্দে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে রুবেল ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যান। 

স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ছাত্রদল নেতা পাপনকে উদ্ধার করে প্রথমে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসা তার অবস্থা বেগতিক দেখে উন্নত চিকিৎসা জন‍্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে পলাশ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তবে এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। ঘটনার সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরএআর