বগুড়া সদর উপজেলায় মেঘনা গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান তানভীর ফুড লিমিটেডের অবৈধ মজুতকৃত আড়াই হাজার টন ধান বিক্রয় করে সরকারি কোষাগারে অর্থ জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এই কাজটি বাস্তবায়ন করবে বগুড়া সদর উপজেলা প্রশাসন। শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফিরোজা পারভীন। 

এর আগে ১১ জানুয়ারি সদর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুমাইয়া সিদ্দিকা এ রায় দেন। গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর সদরের মানিকচক এলাকায় মেঘনা গ্রুপের নির্মাণাধীন রাইস মিলে আড়াই হাজার ধান নিয়ে এসে মজুত করে মেঘনা গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান তানভীর ফুড লিমিটেড। অবৈধ মজুতের অভিযোগে ওই ধানগুলো বগুড়া খাদ্য দপ্তর অভিযান চালিয়ে আটক করে। 

পরে যাচাইকালে খাদ্য দপ্তর জানতে পারে তানভীর ফুড লিমিটেডের ধান মজুতের বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। এ ঘটনায় ২৪ ডিসেম্বর রাতে দুজনকে আসামি করে মামলা করে সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মনিরুল হক। 

মামলায় মেঘনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফা কামাল ও তানভীর ফুড লিমিটেডের সিনিয়র ডিজিএম প্রকৌশলী কেতাউর রহমানকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। সেই মামলায় সদর আমলি আদালতের বিচারক সুমাইয়া সিদ্দিকা রায় দেন। 

সদর আমলি আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, তানভীর ফুড লিমিটেড বগুড়ার সদরে মানিকচক এলাকায় ধান মজুত করে। এই প্রতিষ্ঠান  মেঘনা গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান। কিন্তু মেঘনা গ্রুপের ওই স্থানে ধান মজুতের কোনো লাইসেন্স নেই। এ কারণে তানভীর ফুড লিমিটেডের ধান মজুত বেআইনি। কিন্তু ধান পচনশীল হওয়ায় ও শীতকালীন কুয়াশায় নষ্ট হতে পারে, এ জন্য ধানগুলো বিক্রয় করে সেই অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে। 

বগুড়া সদর উপজেলা নিবাহী কমকর্তা ইউএনও ফিরোজা পারভীন বলেন, ধানের ব্যাপারে আদালত থেকে নির্দেশনা এসেছে। আমরা একটি কমিটি গঠন করব। কমিটি হওয়ার পর ধানগুলো নিলামে বিক্রয় করা হবে। 

তিনি জানান, সামনে সদর আসনে উপ-নির্বাচন। এজন্য একটু দেরি হচ্ছে। নির্বাচনী কাজ শেষ হওয়ার পর এই নিলামের ব্যবস্থা করা হবে।
 
আলমগীর হোসেন/এমএএস