ককটেল হামলায় উড়ে গেল মাথার খুলি
আলু বহনকারী ট্রলি চালানোকে কেন্দ্র করে মুন্সিগঞ্জের চরাঞ্চলে ককটেল হামলায় এক ট্রলিচালকের মাথার খুলি উড়ে গেছে। এতে ট্রলিচালক জালাল বেপারী (৪৮) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে সদর উপজেলার চরাঞ্চলের মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের নতুন আমঘাটা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অপর এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন।
জালাল বেপারী সদর উপজেলার নতুন আমঘাটা গ্রামের গনি বেপারীর ছেলে।
বিজ্ঞাপন
প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, শুক্রবার আলু বহনকারী ট্রলি চালানোকে কেন্দ্র করে স্থানীয় সেন্টু মেম্বার বাহিনীর সদস্য খালেক শেখ, শিপন, স্বপন, দেলু, হারুন, আলমগীরের সঙ্গে নিহত জলিল বেপারীর কথা-কাটাকাটি হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত জামাল বেপারী সেন্টু বেপারীর আত্মীয়। তাদের বাড়ি নতুন আমগাটা গ্রামে। তারা পরস্পর আত্মীয় হলেও দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। প্রতিবছর এ মৌসুমে আলু ওঠানোর পর সেগুলো ট্রলি গাড়ির মাধ্যমে জমি থেকে কোল্ডস্টোরেজে পৌঁছানোর কাজ করতেন জামাল-সেন্টুরা।
বিজ্ঞাপন
এ নিয়ে জামাল ও সেন্টুদের মধ্যে আবারও বিরোধ শুরু হয়। এ নিয়ে ফের শনিবার দুপুরে দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এ সময় তাদের মধ্যে হাতাহাতিও হয়। একপর্যায়ে সেন্টু পক্ষের লোকজন জামালের মাথায় ককটেল নিক্ষেপ করে। এতে ঘটনাস্থলেই জামালের মাথার বিভিন্ন অংশ উড়ে যায় এবং সেখানেই জামাল মারা যান।
নিহতের চাচাতো ভাই মো. মামুন বেপারী বলেন, জামালের সঙ্গে কেউ ছিল না। সেন্টু মেম্বার বাহিনীর খালেক শেখ, শিপন, স্বপন, দেলু, হারুন, আলমগীরা প্রথমে বেদম পেটান জামালকে। জামালের মাথায় একাধিক ককটেল নিক্ষেপ করে মাথাটাই উড়িয়ে দিল। আমরা জামালের হত্যাকারীদের বিচার চাই।
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘটনাটি জানতে পেরে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করি। এ ব্যাপার এখনো কাউকে আটক করা যায়নি। ঘটনার পর থেকে জড়িতরা পলাতক রয়েছেন। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
ব.ম শামীম/এনএ