হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে দুই পক্ষের তিন ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে নারী-পুরুষ ও পুলিশসহ প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছেন। সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ৭টায় উপজেলার জলসুখা ইউনিয়নের মাধবপাশা গ্রামে দুপক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৩ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। বর্তমানে সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং সংঘর্ষে জড়িত দুজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সংঘর্ষে সাইকুল মিয়া (৩৮) নামে একজনকে গুরুতর অবস্থায় হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে আটকের ভয়ে অন্য আহতরা গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মাধবপাশা গ্রামের আব্দুল হাসিম ও লেবু হাজীর মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে পূর্ব বিরোধ ছিল। রোববার রাতে আব্দুল হাসিম পক্ষের এক কিশোরের সঙ্গে লেবু হাজী পক্ষের একজনের ঝগড়া হয়। এরপর রাতে সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হলে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা তাদেরকে দমিয়ে রাখেন। তবে সোমবার সকাল দুই দল সকাল ৭টায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মারাত্মক সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। আজমিরীগঞ্জ থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে। তিন ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে নারী, পুরুষ ও পুলিশসহ ৩০ জন আহত হয়েছেন।

আজমিরীগঞ্জ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাসুক আলী বলেন, প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলা সংঘর্ষ থামাতে ১৩ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। এই সংঘর্ষে দুই পক্ষের লোক ছাড়াও ইট-পাটকেলের আঘাতে ৭/৮ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। দুজনকে আটক করা হয়েছে।

আজহারুল মুরাদ/আরকে