নরসিংদীর রায়পুরায় পৃথক স্থানে ট্রেনের ধাক্কায় দুই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টায় উপজেলার কড়ইতলা রেলক্রসিং এলাকায় একজন ও দুপুরে শ্রীনিধি রেলওয়ে স্টেশন আউটার এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে অপরজনের মৃত্যু হয়।

ভৈরব রেলওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) হাসানুজ্জামান রুমেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলেন- রায়পুরার মির্জাপুর ইউনিয়নের গুচ্ছ গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার ছেলে প্রতিবন্ধী কাশেম মিয়া (৬৫)। তিনি পেশায় একজন শ্যালো মেশিন মেকানিক। অপরজন চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের কড়ইতলা গ্রামের সুচেন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে কর্ণ বিশ্বাস (৬২)। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন।

নিহতদের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে প্রতিবন্ধী কাশেম মিয়া উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের সাধুনগর গ্রামের রেললাইন ধরে হাঁটছিলেন। এসময় পেছন থেকে আসা ঢাকাগামী এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস তাকে ধাক্কা দিলে তিনি রেললাইনের পাশে ছিটকে পড়ে যান। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। অপরদিকে, একই উপজেলার চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের কড়ইতলা গ্রামের সুচেন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন কর্ণ বিশ্বাস দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শ্রীনিধি রেলস্টেশনের পশ্চিম পাশে রেললাইন পার হতে গেলে চট্রগ্রাম অভিমুখী কর্ণফুলী এক্সপ্রেসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মারা যান।

নিহত কাশেম মিয়ার স্বজন বৃদ্ধা ফজিলা বলেন, নিহত কাশেম সকালে বাড়ি থেকে বের হন। রেললাইন ধরে হেঁটে সাপমারা এলাকায় কাজের পাওনা টাকা আনতে যান। উভয় লাইনে একই সময় দুইটি ট্রেন যাচ্ছিল। এসময় এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। খবর পেয়ে বাড়ি নিয়ে এসে দাফন সম্পন্ন করা হয়।

নিহত কর্ণ বিশ্বাসের ছেলে তাপস বিশ্বাস বলেন, বাবা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। যখন যে দিকে ইচ্ছে চলে যেতেন। ধারণা করা হচ্ছে আজ দুপুরে আমার বোনের বাড়ি উত্তর বাখরের দিকে যাচ্ছিলেন। মরদেহ নিয়ে এসে দাহ করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

এমজেইউ