নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে অবৈধ কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরায় ৯ জেলেকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে জেলেদের বিরুদ্ধে হাতিয়া থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে একইদিন বিকেলে তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

এর আগে বুধবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার মৌলভীর চরের কাছ থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় ২০ কেজি জাটকা ও ৫ হাজার ৫০০ মিটার কারেন্ট জালসহ ইঞ্জিনচালিত দুইটি নৌকা জব্দ করা হয়।

কারাগারে প্রেরণ করা জেলেরা হলেন- মো. মফিজ মাঝি (৩৫), মো. মমিন (৪২), ইব্রাহীম (৩৮), আব্দুল গনি (২৮), মো. বাছেদ (২২), মো. খোকন (৪০), মো. জামাল (২৮), মো. নয়ন  (৪৩) ও মো. শাহজাহান (৪৫)। এদের সবার বাড়ি ভোলা সদর উপজেলায়।

নৌপুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন থেকে গোপনে জেলেরা নদীতে কারেন্ট জাল ব্যবহার করে মাছ শিকার করে আসছে। বুধবার রাতে নৌপুলিশের একটি টিম নদীতে অভিযান চালায়। এসময় দুইটি মাছ ধরা ট্রলার আটক করা হয়। পরে দুইটি ট্রলারে তল্লাশি চালিয়ে ২০ কেজি জাটকা মাছ ও ৫ হাজার ৫শ মিটার কারেন্ট জাল পাওয়া যায়। আটক জেলেদের বিরুদ্ধে মৎস্য সংরক্ষণ আইনে মামলা করা হয়। নৌপুলিশ বাদী হয়ে হাতিয়া থানায় এই মামলা দায়ের করে।

হাতিয়ার নলচিরা নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নাসির উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, জব্দ করা জাটকা ও কারেন্ট জালের বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারেন্ট জাল ও জাটকা নিধনের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।

হাসিব আল আমিন/এমজেইউ